শহিদ শামসুজ্জোহার মৃত্যুর দিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবিতে গণস্বাক্ষর

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী সৈয়দ মুহম্মদ শামসুজ্জোহার মৃত্যুর দিনটি ‘জাতীয় শিক্ষক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে এ কর্মসূচির উদ্ধোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট এ কর্মসূচির আয়োজন করে। উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ শামসুজ্জোহার আত্মত্যাগের গুরুত্ব অনেক।
তাৎপর্যের দিক থেকে দিবসটি দেশজুড়ে পালিত হওয়ার কথা। তবে দীর্ঘদিনের দাবির পরও এখনও সেটি পূরণ হয়নি। অবিলম্বে দিবসটি জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
দেখা যায়, শহিদ শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর নেয়ার জন্য একটি সাদা কাপড় ও ব্যানার টাঙানো হয়েছে। সেখানে অনেকেই দিবসটি জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন ও অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসুদ, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজুসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব লিখেছেন, ‘১৮ ফেব্রুয়ারি হবে জাতীয় শিক্ষক দিবস। এটা আমাদের প্রাণের দাবি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, ‘জোহা স্যারের সব যোগ্যতাই ছিল, শুধু একটাই দুর্ভাগ্য তিনি উত্তরবঙ্গের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে হয়তো ঊনসত্তরের পরেই জাতীয় শিক্ষক দিবস হতো ১৮ ফেব্রুয়ারি।’ এ কর্মসূচির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি রায়হান ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টিতে শহিদ শামসুজ্জোহার অবদান অসামান্য। এই দিবসটি জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সেটা হয়নি। যা মহান এই শিক্ষকের আত্মত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ইতিহাসের অমর্যাদা। অবিলম্বে দিবসটি জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এ কর্মসূচিটি চলমান থাকবে।’