তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টাঙিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার এই নোটিশ জারি করে হাতপাতালের বিভিন্ন দেয়ালে নোটিশ টাঙিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপরদিকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।

তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুস সালাম বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্দ না আসায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাম্পে অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বাকি রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। পাম্প কর্তৃপক্ষ আর বাকি দিতে রাজি না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচল সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫ বার রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছে দেয়া হয়। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার।

এর জন্য রোগীদের কাছ থেকে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা দেয়া হয়। প্রাইভেট মাইক্রোতে রোগী পৌছাতে ১ হাজার ৪শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা পর্যন্ত ভাড়া গুণতে হয় স্বজনদের। তাও আবার সময়মত প্রাইভেট এসব মাইক্রো ঠিকমত পাওয়া যায় না। অ্যাম্বুলেন্স থাকায় রোগী নিয়ে যেমন দ্রুত যাওয়া যায় এবং সময়মত পাওয়া যায় একই সাথে ভাড়াও কম লাগে।

কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের তেলের বরাদ্ধ না আসায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করায় চরম বিপাকে পড়ার পাশাপাশি দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন নোটিশ দেখে অনেকই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন জরুরি সার্ভিস এর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা বন্ধ ঘোষণা মেনে নেয়া যায় না।

দ্রুত তেলের বরাদ্ধ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালুর দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজন ও সেবা গ্রহীতারা। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অফিসার ডাক্তার বারনাবাস হাসদাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তেলের বরাদ্ধ না আসায় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তেলের বাজেট বরাদ্দ আসলে আবারো অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।