ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫ - ৯:০৮ অপরাহ্ন

নষ্ট হচ্ছে রাস্তা, বাড়ছে দুর্ঘটনা: তানোরের রাস্তা দিয়ে শত-শত বাস যাচ্ছে সাফিনা পার্কে

  • আপডেট: Tuesday, February 11, 2025 - 8:39 pm

সাইদ সাজু, তানোর থেকে: রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সাফিনা পার্কে তানোর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অর্ধশতাধিক ছোট বড় বাস চলাচল করছে। ফলে, তানোর উপজেলার রাস্তাগুলোতে যানজটের পাশাপাশি ছোট বড় দুর্ঘটনা বাড়ছে। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্তি বড়-বড় বাসগুলো চলাচল করায় নষ্ট হচ্ছে রাস্তা।

যান বাহনের চলাচল বাড়ায় রাস্তারগুলোর দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে শংকা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। উত্তর অঞ্চলের রংপুর দিনাজপুর কুড়িগ্রাম ঠাকুরগাঁও বগুড়া নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে প্রতিদিন অর্ধশতাধীক ছোট বড় বাস চৌবাড়িয়া হয়ে তানোর থানা মোড় দিয়ে মুন্ডমালা দিয়ে জটাবটতলা দিয়ে সাফিনা পার্কে পিকনিকে যাচ্ছে এবং আসছে চলাচল করছে।

বিশেষ করে থানার মোড়ের যানজটকে আরো দূর্বিসহ করে তুলছে। ওই সব বড়-বড় বাসগুলো ঘুরানোর সময় থানা মোড়ে যানজটে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীসহ ট্রাক বাস ও ভুটভুটি সিএনজিসহ অটো গাড়ির যাত্রীসহ পথচারীদের। সাফিনা পার্কের কারনে তানোরের রাস্তাগুলোতে যান বাহনের চলাচল বেড়েছে। যান বাহনের চলাচল বাড়ায় রাস্তার গুলোর দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিয়ে সচেতন মহলের মনে শংকার সৃষ্টি হয়েছে।

তানোর থানা মোড়ের চা দোকানী বিপুল কুমার দাস ও ও লিটন কুমার দাস বলেন, সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টিরও বেশী ছোট বড় বাস চলে যাচ্ছে সাফিনা পার্কে। এসব বড় বড় বাস ছোট এই থানা মোড়ে ঘুরাতে বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের। অপরদিকে যানজটের সৃষ্টি হওয়া চরম দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীরা। থানা মোড় বড় করে গোল চত্বর তৈরি করা না হলে দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে বলে জানান এই দুই চা দোকানী।

সচেতন মহলের অভিমত, তানোর উপজেলার চৌবাড়িয়া হয়ে তানোর থানা মোড় দিয়ে মুন্ডমালা দিয়ে জটাবটতলা দিয়ে সাফিনা পার্কে প্রতিদিন যে পরিমানে বড় বড় বাস চলাচল করছে তাতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সড়ক (রাস্তা গুলো নষ্ট হয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষের উচিত; যেহুতু রাস্তায় যান চলাচল বৃদ্ধি পেলে সেহুতু এই মুহুর্তেই রাস্তাগুলো প্রসস্থ করে তৈরির পরিকল্পনা করার।

তানোর উপজেলার এই রাস্তাগুলোর ধারন ক্ষমতা সর্বচ্চ ১২টা কিন্তু এর অধীক বেশি ওজনের বড়-বড় বাস চলাচল করছে এই রাস্তা গুলো দিয়ে। রাস্তাগুলো যদি বড় বা প্রসস্থ করার পরিকল্পনা এখন না করা হয়, তবে অচিরেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীসহ চলাচলকারী বাস ট্রাকসহ যানবাহন চালকদের।