সাবেক মেয়র লিটন, সাবেক মন্ত্রী সাধন ও আ’লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বাসভবনের একাংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে বাড়িটি ভাঙা হয়। খায়রুজ্জামান লিটনের তিনতলা বাড়িটি রাজশাহী নগরের উপশহর এলাকায় অবস্থিত। বাড়িটি ভেঙে ফেলার সময় ক্ষুব্ধ জনতাকে দেখা যায়। বাড়ি ভাঙা দেখার জন্য অনেক সাধারণ মানুষও ভিড় করেন।
শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটির সামনে দিয়ে যে পথচারী পার হচ্ছেন, তিনিই থেমে বাড়িটি দেখছেন। রিকশাচালক, পথচারী সবাই থেমে যাচ্ছেন বাড়ির সামনে। এর আগে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবার নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান খায়রুজ্জামান লিটন। ওই দিনই এ বাড়িতে হামলা করা হয়।
নিয়ামতপুর প্রতিনিধি জানান, নওগাঁ শহরের সরিষাহাটির মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বিক্ষুব্ধ জনতা এক্সকাভেটর দিয়ে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে এবং সন্ধ্যার পর সাধন চন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, দুই জায়গার চিত্র একেবারেই ধ্বংসস্তূপে রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভবনের নিচতলার অস্তিত্ব বলতে কিছুই নেই। দেয়ালগুলো ধসে পড়েছে, জানালা-দরজার কোনো চিহ্ন নেই। শুধু ধুলোমাখা ইট আর ভাঙা কংক্রিটের স্তূপ পড়ে আছে। এ ছাড়া সাততলা ভবনটির চারতলা পর্যন্ত জানালা ও দরজার গ্রিল খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নওগাঁ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সাদনান সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, বছরের পর বছর আমরা দেখেছি, কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে, কীভাবে সাধারণ মানুষ দুঃশাসনের শিকার হয়েছে। যা হয়েছে তা শোষিত মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই স্থাপনাগুলোতে বসেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরেরা আমাদের সহযোদ্ধা ভাইদের হত্যার পরিকল্পনা করত। তিনি আরও বলেন, যে স্থান এত দিন অন্যায়, দখলদারি আর ভয়ভীতি ছড়ানোর প্রতীক ছিল, তা আজ ইতিহাস হয়ে গেছে।
বাঘা প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীর বাঘায় দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই দুই বাড়িতে দেয়া হয় আগুন। বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে উপজেলার কিশোরপুর হাজামপাড়া ও কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিসংযোগের বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।