ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫ - ৩:০২ অপরাহ্ন

বাজারে সবজির দাম কমলেও অস্থিরতা কাটছে না ভোজ্য তেলে

  • আপডেট: Friday, February 7, 2025 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাজারে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে চাল, আটা-ময়দা ও কিছু মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর ডিলারদের কারসাজিতে তেলের বাজারে অস্থিরতা কমেছে না।

শুক্রবার রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২২ টাকায় আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৪ টাকায়, ছোলা ১৬০ টাকা, মসুর ডাল ১৩৬ টাকা, কালাই ১৮০-১৯০ টাকা, খেসারী ডাল ৯৬ টাকা, মুগ ডাল ১২০-১৫৬ টাকা।

এদিকে, পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা।

রাজশাহীর বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা। যা আগের সপ্তাহে বেচাকেনা হয়েছে ৪০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, আদা কেজি ১৯০ ও লবন প্রতি কেজি ৪০ টাকা।

খোলা ময়দা ৩৮-৪০ টাকা ও দুই কেজির প্যাকেটজাত ময়দা ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। রাজশাহীর বাজারে প্রতিকেজি ২৮ চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৪ টাকায়, জিরাশাইল চাল প্রকারভেদে ৭৫-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে, বর্তমামে দাম স্থিতিশীল থাকলেও আগামী কিছু দিনের মধ্যে চালের দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে আলু ১৮ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা পিচ, টমেটো ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৩০, কাচামরিচ ৫০, গাজর ২০, সিম ২০, লাউ প্রতিপিচ ৪০, সবধরনের শাক ১০-১৫ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবধরনের সবজি বাজারে পর্যাপ্ত আমদানি থাকায় দাম কমেছে। আরও কদিন এ অবস্থা থাকবে।

এছাড়াও সরবরাহ কমের অজুহাতে ভোজ্য তেল বাজারে ডিলালদের তেলেসমাতি চলছেই। রাজশাহীর বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরেই ভোজ্যতেলের অস্থিরতা বিজার করছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, ডিলাররা তেলের সাথে অন্যান্যে পণ্য না নিলে চাহিদামতো তেল দিচ্ছে না বেশিরভাগ দোকানিদের। এতে বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট কাটছে না।

তবে যারা ডিলারদের কথা মতো অন্য পণ্যের সাথে তেল নিচ্ছেন। তারাও আবার বাড়তি দামে ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। রাজশাহীর বাজারে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮৫২ টাকায় বিক্রির নিয়ম থাকলেও সুযোগ সন্ধানি কিছু দোকানি তা ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি করছেন।

ক্রেতারা বলছেন, চাল, ডাল ও সবজির বাজার স্বস্তিদায়ক হলেও ভোজ্য তেলের সংকট কাটছে না। প্রশাসনের উচিৎ এবিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার। এছাড়াও কিছু মসলার দামি কিছুটা কমলেও বেশিকিছু মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আর গরুর মাংশ প্রতিকেজি ৭৫০ টাকায়, খাশি ১১শ টাকা, সোনালী ৩শ-৩৫০, ব্রয়লার দেশি ১৮০-১৯০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।