লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে দিবালোকে ভ্যানচালক সুকুমারকে গলা কেটে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার সিরাজিপুর গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে জিহাদ (২৭) ও পানসিপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহ মন্ডলের ছেলে মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (৩৪)।

লালপুর থানার প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, উপজেলার মধুবাড়ী গ্রামের ভ্যানচালক সুকুমারকে (৩০) মাদকের পাওনা টাকা আদায় ও তার ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশে ফাঁকা মাঠে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান।

জানা যায়, জিহাদ তার বাড়ির সামনে চা বিক্রয়ের পাশাপাশি ভ্যানচালক সুকুমারের মাধ্যমে মাদক ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করত।

সেই সূত্রে সুকুমারের থেকে পাওনা টাকা আদায় ও তার ভ্যানটি ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি জিহাদ গোপালপুর বাজার থেকে কৌশলে তাকে চামটিয়া গ্রামের ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে চাকু দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করে।

এ বিষয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে এবং নিহতের ভাই জীবন কুমার গত ২ ফেব্রুয়ারি লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে নাটোর পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তত্ত্বাবধানে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ দক্ষিণ লালপুরের কলোনিপাড়া গ্রাম থেকে ছিনতাই হওয়া ভ্যানটি ব্যাটারিবিহীন ও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত জিহাদকে গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি ও দেয়া তথ্য থেকে বিক্রি হওয়া চারটি ব্যাটারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ঈগল ব্যাটারি হাউজ থেকে উদ্ধার করে এবং মালিক আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুজ্জামান মানবজমিনকে জানান, আটককৃত আসামিদের বৃহস্পতিবার পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।