ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৫ - ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে বাংলাদেশি ও সুইডিশ বাবার ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী

  • আপডেট: Saturday, February 1, 2025 - 9:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাসের উদ্যোগে রাজশাহীতে সাত দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশি ও সুইডিশ বাবা’ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীটি পিতৃত্বের যথাযথ ভূমিকা এবং পরিবার ও সমাজের ওপর এর গুরুত্বকে তুলে ধরবে।

সেই লক্ষ্যে শনিবার বিকেলে রাজশাহীর পদ্মার পাড় মুক্তমঞ্চে ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেন’র সহযোগিতায় ৭ দিনব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনী চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

দর্শনার্থীরা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত ও ন্যায় সঙ্গত সমাজ গঠনে পিতারা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সে সম্পর্কে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন।

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির স্টোরি টেলার সাদিয়া রহমান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. স্টেফান লিল্লের, সুইডেন এম্বাসি ঢাকার হেড অফ মিশন এন্ড হেড অফ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন মারিয়া স্ট্র্যাইডসম্যান, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের হেড অফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট আজিজুর রহমান।

বক্তারা জানান, পিতৃত্ব সর্বত্রই পরিবর্তিত হচ্ছে, প্রথাগত রোলের বাইরে এসে এখন দায়িত্ব ও সমতার ভাগাভাগির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিখ্যাত সুইডিশ ফটোগ্রাফার ইউহান ব্যাভম্যানের ‘সুইডিস ড্যাড’ সিরিজ দ্বারা অনুপ্রাণিত, এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশে পিতৃত্বের বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরেছে, যাতে বাংলাদেশি বাবাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং সমাজে সমতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে, সুইডিশ বাবারা সক্রিয় ভূমিকায় পিতামাতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

যা আমাদের সমাজে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা জোগায়। রাজশাহীর আগে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগামে এই প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়েছে, যাতে মোট ৮ হাজার ৫০০ দর্শক উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় কমিশনারসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় রাজশাহীতে এই প্রদর্শনীটি চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

অনলাইনে এক মাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় ১০০টি আবেদন থেকে নির্বাচিত ২৩ জন বাবা এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছেন। এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করার মাধ্যমে, পিতৃত্ব, পজিটিভ ম্যাস্কুলিনিটি, সমতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।