ঢাকা | জানুয়ারী ২৯, ২০২৫ - ৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দেড় লাখ মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক

  • আপডেট: Sunday, January 26, 2025 - 7:00 pm

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর পোরশা উপজেলা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ উপজেলার জনসংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৩৫ জন। সরকারি হাসপাতাল একটি। হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত মাত্র একজন চিকিৎসক।

হাসপাতালটিতে কাগজপত্রে প্রতিনিয়ত ১০ জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবায় থাকার কথা থাকলেও প্রায় দেড়লক্ষ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক।

প্রতিদিন প্রায় ৪ শতাধীক রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। আউটডোরেই প্রতিদিন চিকিৎসা দেয়া হয় প্রায় ২০০ জনকে। এছাড়াও জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয় প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জনকে। এ কারণে সুবিধামত চিকিৎসা পাচ্ছেন না মানুষ। হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সেবায় থাকা ডাক্তার। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ে আছে।

ফলে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত স্থানীয় জনসাধারণ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে বগুড়ায় আরডিএ তে প্রশিক্ষণে রয়েছেন ১জন, পত্নীতলা ম্যাট্স এ প্রেষনে রয়েছেন ১ জন ডাক্তার। পদ শুন্য রয়েছে ৭টি।

এছাড়াও পদশূন্য রয়েছে মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ১জন, চক্ষু বিভাগের ১জন, অর্থোপেডিক্স বিভাগের ১জন, কার্ডিওলজি বিভাগের ১জন, ইএনটি বিভাগের ১জন, চর্ম ও যৌন বিভাগের ১জন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১জন, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার ১জন।

অপরদিকে নার্সিং সুপারভাইজার ১ জন, হেল্থ এডুকেটর ১জন, কম্পিউটার অপারেটর ১জন, ক্যাশিয়ার ১জন, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ১জন, ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১জন ও ফিজিওথেরাপি ১জন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ২জন, ভান্ডার রক্ষক ১জন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪জন, স্বাস্থ্য সহকারী ৭জন ও অফিস সহায়ক ৪ জনের পদ শূন্য রয়েছে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিরও বেহাল অবস্থা।

এগুলোর মধ্যে নোনাহার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শাহ্ পোরশা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। নিতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছাওড় ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ঘাটনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন করে মেডিকেল অফিসার ছাড়াও নিতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ১টি পদ শূন্য রয়েছে।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা চিকিৎসক ডা. আরিফ হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৃহত এই জনগণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তার দ্বারা এতো মানুষেকে চিকিৎসা দেয়া কি সম্ভব? তাকে প্রতিনিয়িত চিাকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজির আহমেদ এ বিষয়ে জানান, তারা চিকিৎসক এবং অন্যান্য শুন্যপদ পূরণের লক্ষ্যে লোকবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হাসপাতালের তথ্য পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশা করছেন বলে জানান।