পবায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বন্ধ হলো পুকুর খনন
স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলায় সবসারে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন ফসলি জমিতে শুরু হয়েছে পুকুর খনন। নির্বিচারে কৃষি জমিতে পুকুর খননের ফলে নষ্ট হচ্ছে তিন ফসলি জমি।
এলাকাবাসীর অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন-পুলিশের সহযোগিতায় বন্ধ করে পুকুর খনন।
জানা গেছে, পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার মৌজায় আনুমানিক ৩০ বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমির মালিকদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোরপূর্বক পুকুর খননের জন্য একটি এস্কেভেটর (মাটি খননকারি মেশিন) নামানো হয়েছিল।
খনন করা পুকুরের পাড়ে উঁচু বাধ দেয়ায় আশেপাশের কৃষি জমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা।
ফলে অনাবাদি হয়ে পড়বে এই অঞ্চলের আবাদি জমি। এই আশঙ্কায় নিজেদের তিন ফসলি জমি রক্ষার জন্য বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার, সূর্যপুর ও বেতকুড়ি গ্রামের এলাকাবাসীরা যৌথভাবে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড ও পবা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর ফলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগকারী এলাকাবাসী জানান, বড়গাছী ইউনিয়নের সবসার ও বেতকুড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নওদাপাড়া আমচত্ত্বর এলাকার আয়নাল হকের ছেলে মিজানুর রহমান রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে পুকুরখনন শুরু করেন।
এই মিজান পুকুর খননকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বাইরের পার্টির সঙ্গে মধ্যস্থতা করে এই এলাকায় পুকুর খনন করাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পবা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করা হয়।
গভীর রাতে মিজান এই জমিতে পুকুরখনন করলে এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ হাসানকে ফোন করে জানান। এতে তিনি রাতেই পবা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন। তৎক্ষণাত পবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুকুরখনন কাজ বন্ধ করে দেন এবং খনন যন্ত্র তুলে নেয়ার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
পবা ইউএনও জাহিদ হাসান বলেন, পুকুর খননের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেলে তৎখনাত অভিযান চালানো হচ্ছে। সবসার ও বেতকুড়ি এলাকাবাসীর অভিযোগের ফলে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে।
আমি যোগদানের পর উপজেলায় অন্তত ৩০-৩৫টি অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে অভিযানের পাশাপাশি অবশ্যই সামাজিক সচেতনতা জরুরি।