রাজশাহীতে আমদানি করা হয়েছে ১৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন চাল
গণমাধ্যমের সঙ্গে খাদ্য কর্মকর্তার মতবিনিময়
স্টাফ রিপোর্টার: বাজারে মোটা চাল ও আটার বাজার দর নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় তিনি জানান, দ্রব্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার ইতোমধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাগে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে। সরকারিভাগে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করবে। ইতোমধ্যে রাজশাহী বিভাগে ১৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার মহানগর, জেলা, শ্রম ঘন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে খোলাবাজারে (ওএমএস) কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে চাল বিক্রি কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে। সরকারের এ কার্যক্রমের ফলে বাজারে চাল ও আটার মূল্যের উপর প্রভাব পড়েছে এবং চাল ও আটার মূল্য কমতে শুরু করেছে। আমদানির ফলে দেশে খাদ্যশস্যের মজুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জানান, ১২ জানুয়ারি থেকে উপজেলা পর্যায়ে খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি কার্যক্রম বৃদ্ধি করার ফলে চাল ও আটার মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী। ইতোমধ্যে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে চালের দাম কেজি প্রতি ১ টাকা এবং আটা কেজি প্রতি ৩.০৭ টাকা কমেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মোটা চাল ও আটার দর আরও কমে আসবে।
চালের মূল্য কমে আসায় সংগ্রহ কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বলে জানান মো. মাইন উদ্দিন। তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২০২৫ কার্যক্রম শতভাগ সফল হবে বলে আশা করা যায়। এ বিষয়ে খাদ্য বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন।
রাজশাহী বিভাগে আমন মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সিদ্ধ চাল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন এবং আতপ চাল ১৮ হাজার ২৬৩ মেট্রিক টন। রাজশাহী বিভাগে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে সিদ্ধ চাল ৫৫ হাজার ৩৩৭.৯৭০ মেট্রিক টন (শতকরা ৬১.০৬ শতাংশ) এবং আতপ চাল ৯ হাজার ৭৬৯.১৫০ মেট্রিক টন (শতকরা ৭৫.৯৭ শতংাশ)।