ঢাকা | জানুয়ারী ১৩, ২০২৫ - ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পুঠিয়াজুড়ে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা

  • আপডেট: Sunday, January 12, 2025 - 7:00 pm

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলাজুড়ে মাদকের রমরমা কেনাবেঁচা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুঠিয়া এবং বেলপুকুর দুই থানা এলাকায় মাদককারবারিরা বেপরোয়া হয়েছে। গত৭ জানুয়ারি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাশের্ববর্তী এলাকায় সরদার পাড়ায় মাহাবুর নামের এক ব্যক্তি মাদকসেবন করে মারাও গেছে।

মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওযায় চুরির সংখ্যাও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজশাহী র‌্যাব-৫ আদিবাসী পাড়ায় অভিযান চালানোর পর কয়েকদিন চোলাই মদ তৈরি বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার পূর্বের মতো প্রতিদিন হাজার-হাজার লিটার চোলাই মদ উৎপাদন এবং বিক্রি হচ্ছে। এখন নতুন কায়দায় চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে। তা হলো- বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা কমল পানির বোতল সংগ্রহ করে তার ভিতরে চোলাই মদ ঢুকিয়ে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তারা একাধিকবার থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না। চোলাই মদ সেবন করে অনেকে বেহুস হয়ে যেখানে-সেখানে পরে থাকতে দেখা যায়। আবার কেউ মদ সেবন করতে এসে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। পুঠিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফা পাড়ায় কয়েকজন চিহ্নিত মাদককারবারি প্রকাশ্য মাদক কেনাবেঁচা করছে।

এছাড়াও মোলাপাড়া, কান্দ্রা গুচ্ছুগ্রাম, ধোপাপাড়া, ফুলবাড়ি, নামাজগ্রাম, শিবপুর বাজার, বানেশ্বর হাট, পীরগাছা তালুকদার গুচ্ছগ্রাম, ঝলমলিয়া বাজার, বেলপুকুর থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কার্যক্রম কম থাকায় মাদকারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠছে।

আদিবাসী পাড়ার স্থানীয়রা জানায়, প্রতিটি মাদককারবারিদের সঙ্গে মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা এবং পুলিশের কিছু ‘সদস্যের’ মধ্যে সমঝোতা আছে। তারপর আদিবাসীপাড়ায় বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ক্যাডারেও চোলাই মদের টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলাজুড়ে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, ইরোইন, গাঁজা, চোলাই মদ।

মাদক বিক্রেতারা বলছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য কর্মকতার্দের সঙ্গে ‘চুক্তি’ করে তারা মাদক কারবার করে আসছে। চুক্তি না করলে একদিনও মাদককারবার করা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্যের পুঠিয়া সার্কেলের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, আদিবাসী পাড়ায় আমরা অভিযানে গেলে চোলাই মদ তৈরি করার কোনো আলামত পাই না। মদ তৈরিকারীরা আগে থেকে কিভাবে যেন বুঝতে পেরে যায়।

পরে তারা সাবধান হয়ে যায়। আদিবাসীপাড়ার সামনেই আছে থানা। থানা একটু কঠোর হলে আদিবাসীপাড়ায় চোলাই মদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের লোকবল অতি সামান্য হওয়ার জন্য আমরা ঘনঘন অভিযান করতে পারচ্ছি না।