স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার মোট ৯৩ জন নারী ও শিশুকে সেবা প্রদান করেছে। এ কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করতে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

রোববার আরএমপির সদর দপ্তর কনফারেন্স রুমে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের স্টিয়ারিং কমিটির ২৬তম সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। সভায় পুলিশ কমিশনার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন এবং এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তিনি বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মূল উদ্দেশ্য হলো সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের আইনগত সহায়তা, মানসিক কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ও তাদের জীবনকে পুনর্গঠনের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা আমাদের দায়িত্ব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত এনজিও প্রতিনিধিরা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তারা জানান, সামাজিক সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আরএমপি’র এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সভায় বক্তারা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম গতিশীল করতে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। পাশাপাশি, সহিংসতার শিকারদের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

সভায় আরএমপি’র কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সাইফউদ্দীন শাহীন, বোয়ালিয়া ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার অনির্বান চাকমাসহ আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, আরএমপি’র ১২টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ, নারী ও শিশু হেল্প ডেক্সের ইনচার্জগণ এবং ৮ টি এনজিও-এর প্রতিনিধিবৃন্দ।