দুর্গাপুরে নতুন বইয়ের চাহিদা সাড়ে তিন লাখ, এসেছে ৪১ হাজার

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলায় এখনও নতুই বই পাইনি মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থীরা। উপজেলায় নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শিক্ষাথীদের হাতে বই তুলে দেয়া কার্যক্রম শুরু হলেও তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। ফলে খুবই ধীরগতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিস হতে এবার পাঠ্যপুস্তক এর চাহিদা দেয়া হয়েছিলো ২ লাখ ৭৮হাজার ৩৩৫টি। এর বিপরীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস পেয়েছে মাত্র ২৬হাজার ৫০০ পাঠ্যপুস্তক। এদিকে প্রাথমিকের চাহিদা দেয়া হয়েছিল ৭২ হাজার ৯৯০টি বই। তারা পেয়েছেন মাত্র ১৫ হাজার পাঠ্যপুস্তক। চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত প্রাপ্ত বইগুলো পহেলা জানুয়ারী থেকে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে ৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাধ্যমিক স্কুল ৪৫টি মাদ্রাসা ১৯টি এবং কারিগরি ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রায় ২১ হাজার ৭০০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার ফলে এ উপজেলা হতে ২লাখ ৭৮হাজার ৩৩৫টি নতুন বইয়ের চাহিদা পাঠানো ছিল।
ওই চাহিদার ওপর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৬ হাজার ৫০০ নতুন পাঠ্যপুস্তক এসেছে। যে পাঠ্যপুস্তক উপজেলায় এসেছে তা প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পৌঁছানো হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলায় ৮২টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১৭ হাজার ৬১০জন। যার ফলে বইয়ের চাহিদা দেওয়া হয়েছিল ৭২ হাজার ৯৯০টি পাঠ্যপুস্তক। সেখানে তারা পেয়েছেন ১৫ হাজার পাঠ্যপুস্তুক।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা যায়, নতুন বইয়ের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ভিড় করছেন। চাহিদার তুলনায় ২০ ভাগ নতুন বই এখনও দিতে পারছেন না শিক্ষা অফিস। এতে অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা বই না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন। শিক্ষা অফিসে বই নিতে আসা দুর্গাপুর সদর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র জানান, এবার এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত নতুন বই পেয়েছেন।
শুধু ষষ্ট ও অষ্টম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বই পেয়েছেন। বাকি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এখনও কেউ বই পাননি। কবে নাগাদ এসব বই পাবেন শিক্ষার্থীরা তাও তিনি জানেন না বলে জানান। তবে অল্প সময়ের মধ্যে এসব পাঠ্য পস্তুক আসবে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম।
তিনি বলেন, এ বছরে চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত বই পেয়েছি আমরা। আর এই সীমিত বইগুলো বছরের প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কবে নাগাদ চাহিদার বাকি বই গুলো শিক্ষার্থীরা পাবেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এটা নিদিষ্ট করা বলা যাচ্ছে না। তবে এ মাসেই বই পাওয়ার আশা করছেন এই কর্মকর্তা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের আমরা বই পেয়েছি।
এছাড়া আর কোন বই পাইনি। শিক্ষা অফিস থেকে ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য নতুন বইয়ের চাহিদা দেয়া আছে। যে গুলো বই আমরা পেয়েছি সেগুলো স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এখনও অনেক বই না পাওয়া গেলেও মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।