ঢাকা | ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪ - ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী বিভাগের ১২ কলেজের সবাই অকৃতকার্য

  • আপডেট: Tuesday, October 15, 2024 - 8:59 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষায় ১২টি কলেজের কেউ পাস করেননি। এই ১২ কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৪৬ জন। তাদের সবাই ফেল করেছেন।

মঙ্গলবার রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এবার শতভাগ ফেল করা কলেজগুলো হচ্ছে, রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের চকঝগড়ু হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শফিউর রহমান আইডিয়াল কলেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিজবলাইল ইংলিশ কলেজ, গাবতলীর বাগবাড়ী মহিলা কলেজ, নাটোরের গুরুদাসপুরের দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাটোর সদরের বেগম খালেদা জিয়া কলেজ, নাটোরের নলডাঙ্গার সারকুতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাগাতিপাড়ার তমালতলা মহিলা কলেজ, নওগাঁর মান্দার চককামদেব আদর্শ কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদরের ছনগাছা মহিলা কলেজ ও ছতলানতলী মোরগ্রাম টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ জন শিক্ষার্থী ছিলেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিজবলাইল ইংলিশ কলেজে। সাতজন শিক্ষার্থী ছিলেন বাগবাড়ী মহিলা কলেজে। অন্য কলেজ গুলোর মধ্যে একটিতে ছয়জন, একটিতে চারজন, পাঁচটিতে দুজন করে এবং তিনটি কলেজে একজন করে পরীক্ষার্থী ছিলেন।

শতভাগ ফেল করা এসব কলেজের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। শুধু তালিকাটা আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে পারি। তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।’

মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। এ বছর বিভাগের আট জেলার ৭৪১টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা ২০৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেন। এবার রাজশাহী বোর্ডের ৩৫টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।

গত বছর রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে। এ ছাড়া গতবারের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন এবার। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ২৫৮ জন। অথচ গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এবারের চেয়ে বেশি।

চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অলীউল আলম জানান, এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় মোট কলেজের সংখ্যা ছিল ৭৪১। এর মধ্যে ১২টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। যেসব কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি, সেসব কলেজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।