নবীনদের বরণ করে নিলো রাবি, র্যাগিং হলে কঠোর শাস্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২৩-২০২৪ সেশনের অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নবাগত শিক্ষার্থীদের র্যাগিংমুক্ত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এদিন, বিভাগগুলোর শিক্ষকগণ নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর নবীন শিক্ষার্থীরা একে একে তাদের পরিচয় দেন। শিক্ষকরা তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে এবং কে কি করতে পছন্দ করেন, তা জানতে চান। এছাড়া ছিল নানা আয়োজন ।
নবীনদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে মতিহারের সবুজ গালিচা। নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আনন্দে আপ্লুত। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন সিনিয়ররা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষার্থীরা নবীনদের গানের সুরে বরণ করে নেন।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, এক আকাশ পরিমাণ আবেগের নাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ কাক্সিক্ষত চূড়ায় ক’জনই-বা পা রাখতে পারে।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি পেরেছি। তবে পাওয়ার পর থেকেই যেন ক্লাসে যাওয়ার আগ্রহ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আজ ক্লাস শুরু মাধ্যমে অসম্ভব ভালো ও আবেগঘন অনুভূতির পূর্ণতা পেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া রাফাসান আলম বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ তৈরি হয় সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে।
এক যুগ পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে অনেকটা যুদ্ধময় পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাই আনন্দটাও ছিল অনেক বেশি।
র্যাগিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, একজন শিক্ষার্থী যখন সদ্য এইসএসসি পাস করে বাড়ির বাহিরে আসে তখন তারা অনেকটা কোমলমতি থাকে। র্যাগিংয়ের মাধ্যমে যখন তাদেরকে হয়রানি করা হয় তখন তাদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। নতুন এই শিক্ষার্থীরা তখন ভেঙে পড়ে।
পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না। যার ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। আমাদের বর্তমান প্রশাসন কোনোভাবেই চান না এ ধরনের কার্যক্রম হোক। কারো বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।