ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪ - ২:৫১ পূর্বাহ্ন

তানোরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট: Thursday, September 5, 2024 - 9:52 pm

তানোর প্রতিনিধি: তানোর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, স্কুল সরকারি করণের নামে সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে ইফতার করানোর জন্য স্কুল ফান্ডের ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়।

বিগত ২০১৯ সালের ১৩ মে থেকে স্কুলের দোকানঘর ভাড়ার প্রায় ১১ লাখ টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেননি। এছাড়াও প্রশংসাপত্রের জন্য ছাত্র প্রতি পাঁচশ’ টাকা করে গ্রহণ করেন যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা।

এসব টাকার কোনো হদিস নাই। অন্যদিকে বিগত ২০১৯ সাল থেকে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, ফরমপূরণে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন যার পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

প্রধান শিক্ষক এসব টাকা নয় ছয় করেছেন। এদিকে ২০১৯, ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে দুইটি করে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে ৩০০ টাকা করে সেশন চার্জ এবং ২০০ টাকা বেতন নিয়েছেন যার পরিমাণ ৩ লাখ টাকা। যা স্কুল ফান্ডে জমা দেয়া হয়নি।

এছাড়াও সরকারি অনুদানের প্রায় ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রতি পরীক্ষা যেমন জেএসসি এবং এসএসসি হইতে বিদ্যালয়ের আয়ের সমুদয় অর্থ প্রায় ৬ লাখ টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন।

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের ভেন্যু ব্যবহারকারীদের কাছে প্রাপ্ত অর্থ যার পরিমাণ দেড় লাখ টাকা। প্রধান শিক্ষক আত্মসাত করেছেন। ওদিকে উপজেলা ও জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত প্রায় ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এছাড়াও এফডিআর ফান্ডের কোনো হদিস নাই। অন্যদিকে স্কুলের দোকান ঘরের জামানত বাবদ ১৫ লাখ টাকার কোনো হদিস নাই সে আত্মসাৎ করেছেন।

অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম সাবেক এমপি ফারুক চৌধুরীর ছোট ভাই পরিচয় দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছেন।

আবার পাস করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশংসাপত্র-সার্টিফিকেট ও মার্কসীট প্রদানে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হয়। যার পরিমাণ প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমি কোন অর্থ আত্মসাৎ করেনি। প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করা হয়েছে। আমিও চাই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হোক। আমি আত্মসাৎ করে থাকলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কর্তৃপক্ষ বলেও দাম্ভিকতা দেখান তিনি ।