ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ - ৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

গোদাগাড়ীতে যুবককে গুমের অভিযোগে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা

  • আপডেট: Thursday, August 29, 2024 - 9:55 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জুয়েলারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগে স্ত্রী নাইস খাতুনের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার আমলী আদালতের বিচারক লিটন হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার দুপুরে র‌্যাব-৫ এর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পে ২০১৬ সালে কর্মরত সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলার আবেদন করেন নাইস খাতুন। আদালত সেদিন মামলাটি আদেশের জন্য রেখে দেন। পরদিন সকালেই আদালত মামলা গ্রহণ করে আদেশ দেন।

নাইসের আইনজীবী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

নাইসের মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- র‌্যাব-৫ এর তৎকালীন রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার শাহিনুর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) দেবব্রত মজুমদার, দুলাল মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন, ল্যান্স নায়েক মাহিনুর খাতুন, সিপাহী কহিনুর বেগম ও কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।

মামলার বাদী নাইস খাতুনের বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষালবাড়ি আলীপুর মহল্লায়। তার অভিযোগ, ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর স্বামী ইসমাইল হোসেনকে (৩০) উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড় থেকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যান। তিনদিন পর ইসমাইল অন্য এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর থেকে কল করে পরিবারকে জানান, তিনি র‌্যাবের হেফাজতে আছেন।

র‌্যাব সদস্যরা যখন ইসমাইলকে তুলে নিয়ে যান তখন অনেকেই দেখেছেন। এছাড়া মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি র‌্যাব ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় সেখানে ইসমাইলকে দেখেছেন। র‌্যাব ক্যাম্পে আগে থেকে থাকা এ দুই ব্যক্তিকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কিন্তু ইসমাইলকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। আজ পর্যন্ত তাঁর খোঁজও মেলেনি।

ইসমাইল হোসেনের পরিবার এতদিন মনে করতেন, কথিত আয়নাঘরে ইসমাইলকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাই আওয়ামী সরকারের পতনের পর আয়নাঘর থেকে কেউ কেউ ফিরে এলে ইসমাইল হোসেনের ছোট ভাই ইউসুফ আলীও ঢাকায় ছুটে যান।

গুমের শিকার অন্যদের স্বজনদের সঙ্গে তিনি কয়েকদিন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেন কথিত আয়নাঘরের সামনে। ইসমাইলের ছোট দুই সন্তানও অপেক্ষায় থাকেন বাবার। কিন্তু ইসমাইলকে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হয়েছে ইউসুফকে।

এরপরই র‌্যাবের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হলো।