পদ্মায় বৃদ্ধি পেয়েছে পানি, ডুবে গেছে চরের পাকা রাস্তা
বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি চরের পাকা রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ক্ষেতের অনেক ফসল ডুবে গেছে।
বুধবার দুপুরে এ দৃশ্য দেখায় যায়। ফারাক্কা ব্যারাজের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ার কারণে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন। এখানে ৮টি চরে ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। চকরাজাপুর ইউনিয়নের উত্তরে পদ্মা নদীর ক্যানেল, পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণে মূল পদ্মা।
এই ইউনিয়নের চারদিকে পানি। মাঝখানে চর। এ চরে গঠিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ। এখানে আটটি চরের মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি হয়ে রয়েছেন।
এখান থেকে যেখানেই যেতে হচ্ছে নৌকায় যেতে হয়। এর মধ্যেই আবার শুরু হয়েছে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি। পানি বৃদ্ধির কারণে তারা আতঙ্কে রয়েছেন। চকরাজাপুর চরে যেতে হালিম মাস্টারের ঘাট পার হয়ে চকরাজাপুর যেতে পাকা রাস্তা রয়েছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই পাকা রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী চরের গোলাম মোস্তফা বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে চকরাজাপুর বাজার থেকে হালিম মাস্টারের ঘাট পর্যন্ত পাকা রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে অনেক ফসল ডুবে গেছে।
ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর পানি এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।
এরপরও পদ্মা নদীর মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১১টি চরে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়নের বোর্ডের গেজরিডার এনামুল হক বলেন, বুধবার দুপুর ২টায় পদ্মায় ১৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার পানি অবস্থান করছে। ২৬ থেকে ২৮ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।