রাজশাহীতে মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেয়ায় সাড়ে ৫ বছর পর মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুন নাহার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি করেন।
সামসুন নাহার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ২০২৩ সালে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই ১৬ জনের মধ্যে সামসুন নাহারও ছিলেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, তাকে ভোট দিতে বাধা দেয়া হয়েছিল, এটা ঠিক। সে সময় সামসুন নাহার মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে মামলা করার ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা হয়নি মিজানুরের।
মামলার এজাহারে শামসুন নাহার নিজেকে মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এজাহারে ‘ভুলবশত’ দলীয় পরিচয় দেয়া হয়েছে। তবে মনেপ্রাণে তিনি সব সময় জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে সাবেক সিটি মেয়র ও বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় রোববার তিনি আরও একটি মামলা করবেন। সেখানে আর ভুল থাকবে না।
শামসুন নাহারের মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিন বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে আসামিরা তাঁকে বাধা দেন।
এ সময় ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ ঘটনার পর আসামিরা সামসুন নাহারের বাড়ি ও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া নগদ টাকা ও গয়না লুট করা হয়। ওই সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় মামলা করা যায়নি। এখন মামলা করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, সাড়ে পাঁচ বছর আগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।