ঢাকা | মে ১৭, ২০২৫ - ২:৩৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

শিবির নেতা রায়হান হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপর পুলিশ

  • আপডেট: Wednesday, August 21, 2024 - 10:00 pm

মিনুকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে লিটনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংঘর্ষে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা রায়হান আলী হত্যা মামলায় সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মামলার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি ছাড়াও অজ্ঞাত আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার রাতে সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ এক হাজার ২৫০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে বোয়ালিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত শিবির নেতা রায়হান আলীর ভাই রানা ইসলাম।

মামলা শেষে রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির আবু মোহাম্মাদ সেলিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। কাউকে হয়রানিমূলক আসামি করা হয়নি। তিনি আশা করেন- পুলিশ দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে।

এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর বাড়িতে হামলার পাঁচ বছর পর সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ওই সময় সাবেক মেয়র মিনুর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় মিনুর বাড়ির কেয়ারটেকার আলাউদ্দিন বাদি হয়ে একটি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিই বিভাগের শিক্ষক ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আওরঙ্গজেব মো. আব্দুর রহমান আরেকটি মামলা করেন।

চন্দ্রিমা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে করা দুটি মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় হত্যা চেষ্টা, ছিনতাই, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লিটনকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিনুর বাড়ির কেয়ারটেকার আলাউদ্দিনের করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে পদ্মা আবাসিকের ২ নম্বর রোডে মিজানুর রহমান মিনুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা প্রথমে বাড়ির সামনে চার-পাঁচটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

এরপর বাড়ির নিচতলায় ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। মিনু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে। রাজনৈতিক চাপ ও হত্যার হুমকি থাকার কারণে এত দিন মামলা করা যায়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর প্রফেসর আব্দুর রহমানের করা মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর পদ্মা আবাসিকের পোস্ট অফিসের বিপরীতে মিনুর নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়। এ সময় অস্ত্রধারীরা তার ওপর হামলা চালায় এবং চার-পাঁচটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা অস্ত্রের মুখে ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান চন্দ্রিমা থানার ওসি ইসমাইল হোসেন।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS