ঢাকা | ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪ - ৯:০৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে কাজ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন শ্রমিকরা

  • আপডেট: Tuesday, August 13, 2024 - 10:15 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান রেলগেট, শালবাগান, কোর্ট স্টেশন মোড়, সিএনবির মোড়, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ভোর থেকে আসতে থাকেন দিনমজুর শ্রমিকরা।

এসকল মোড় থেকে দৈনিক চুক্তিভিত্তিক রাজমিস্ত্রীসহ বিভিন্ন কাজে নিয়ে যান অনেকে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকারের পদত্যাগের পর রাজশাহীতে রাজনৈতিক মহলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করার কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে উন্নয়ন কাজ। ফলে শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না।

মঙ্গলবার সকালে গোদাগাড়ী উপজেলার মহব্বতপুর গ্রাম থেকে দিনমজুর মোমিনুল ইসলাম ও গোলাম হোসেন কাজের সন্ধানে আসেন রাজশাহী শহরের রেলগেটে। সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কোন কাজ কোন সন্ধান পাননি তারা। একটানা তিনদিন ধরে কাজ পাননি ওই দুই দিনমজুর। পুঠিয়া উপজেলার মহেন্দ্রা গ্রাম থেকে ভোরে সাইকেল চালিয়ে এসেছেন দিনমজুর আবদুস সালাম।

তিনিও জানান, গত ৪দিন তিনি কোনো কাজ পাননি। ভোর ছয়টায় এসে দুপুর ১২টার দিকে তিনি খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন। তার দিনের রোজগারে চলে পুরো পরিবারের খরচ।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ভোরবেলায় কাজের আশায় এখানে আসছি। ফজরের আগে সাইকেল নিয়ে বের হচ্ছি। এখানে এসে ছয়টায় পৌছাচ্ছি। দুপুর পর্যন্ত বসে থেকেও কেউ কাজে নিচ্ছে না। সেভাবে কাজও পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে বাড়িতে আমার আশায় সবাই বসে থাকে। একটা কাজ পেলে হয়তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে, নাহলে জ্বলবে না।’

শুধু দিনমজুর, মোমিন, গোলাম হোসেন ও আবদুস সালাম নয়। তার মতো শতাধিক দিনমজুর গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ পাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন। দিনমজুররা প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কাজের জন্য বসে থেকে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন।

তারা বলছেন, ‘ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকায় কাজ নেই।’

রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, মোটরসাইকেল বা যানবাহন থামলেই দিনমজুররা সেখানে ভিড় করছেন। কাজ পাওয়ার আশায় ছুটে যাচ্ছেন। কিন্তু কাজ না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে আবার ফিরে আসছেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করছেন। দিনের পর দিন কাজ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর দিনমজুর শ্রমিকদের জীবনযাত্রা। কবে লাগাদ সবকিছু ঠিক হবে, এই আশায় রয়েছেন দিনমজুর শ্রমিকরা।