অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির বিরুদ্ধেও সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদের আওতায় দেশদ্রোহের মামলাও করতে চলেছে দেশটির বর্তমান সরকার।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এ কথা জানিয়েছেন ।

সোমবার মন্ত্রী বলেন, পিটিআই অবৈধ উৎস থেকে বিদেশি তহবিল পাচ্ছে এমন অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ হয়েছে। এছাড়াও গত বছর সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিশানা করে পিটিআই সমর্থকদের দাঙ্গা-হাঙ্গামার ভিত্তিতে দলটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পিটিআই এবং পাকিস্তান সহাবস্থান করতে পারে না বলেও দাবি শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকারের। ফেডারেল সরকার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করতে মামলা করবে। প্রয়োজনে বিষয়টি মন্ত্রিসভা এবং সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দল নির্বাচনে নিষিদ্ধ থাকায় স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা। তারা পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ আসনও পায়।

তবে শুক্রবার এক আদেশে পিটিআই পার্লামেন্টে ২৩ টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য এমন ঘোষণা দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে পিটিআই জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পট প্রস্তুত হয়। ফলে ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর চাপ বাড়তে থাকে।

এরপরই পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের ঘোষণা এল। এর মাধ্যমে জাতীয় পরিষদে একক বৃহত্তম দল হওয়া থেকে দলটিকে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সোনালী/সা