ঢাকা | জুন ২, ২০২৫ - ৬:২৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম

রাসেলস ভাইপারের কামড়ে এক বছরেও সুস্থ হননি আলম বিশ্বাস

  • আপডেট: Monday, July 15, 2024 - 12:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী চরে বসবাস করেন আলম বিশ্বাস (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। চরে বাদামখেতে কাজের সময় রাসেলস ভাইপার কামড় দেয় তাকে। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পরিপূর্ণ সুস্থ হতে পারেননি আলম বিশ্বাস। সাপে কামড়ানো হাতের আঙুলে পচন ধরার পর বর্তমানে অস্বাভাবিক অবস্থা হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে আলম বিশ্বাস বলেন, গত বছরের ৪ জুলাই ১৬ জন শ্রমিক নিয়ে পদ্মার চরে বাদামের জমিতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার কামড় দেয়। জীবিত সেই সাপ ধরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হয়। ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসা হয়। কামড় দেওয়া স্থানে যন্ত্রণা করে। তাই রাজশাহী ও ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা ছাড়াও বাঘা ও কুষ্টিয়ায় ওঁঝার কাছে সাড়ে ৫ মাস চিকিৎসা নিয়েছি। এখনো পুরো সুস্থ হতে পারিনি। এখনো সাপের বিষের ব্যথা আছে আঙুলে।

তিনি বলেন, সাপে কামড়ের পর বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে পচন ধরে। এরপর ওষুধ খেতে খেতে কুকড়া অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। সাপে কামড়ানো আঙুলে হাত দিলে ব্যথা করে। এ হাতের আঙুলের সাহায্যে কোনো কাজ করা যায় না। একটু লাগলে (আঘাত) রক্ত বের হয়। এক হাতে সারতে হয় যাবতীয় কাজ।

আলম বিশ্বাসের স্ত্রী নাওজান বেগম বলেন, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাঘার মনিগ্রামে এক ওঁঝার কাছে। সেখানে ওঁঝা তাকে কিসের জানি পাতা খেতে দিয়েছিল। এক ঘণ্টা পরে তার জ্ঞান ফিরেছিল। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু শাহীন বলেন, আলম এক বছর আগে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তার কী অবস্থা তা জানি না। তবে সাপে কামড় দিলে সেই স্থানে দীর্ঘ সময় ব্যথা থাকে। এর মধ্যে অনেকের চোখ ও শরীরে বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হয়।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাড় ভেঙেছে। অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। ফলে সাপের আশ্রয় স্থানগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সাপ উঁচু স্থান বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

 

সোনালী/সা

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS