ঢাকা | নভেম্বর ১৭, ২০২৪ - ৪:৩৩ অপরাহ্ন

আশ্রয়ণের ঘর থেকে বের করে দেওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১৮ মামলা

  • আপডেট: Thursday, July 11, 2024 - 12:37 pm

অনলাইন ডেস্ক:  নাটোরে গুরুদাসপুর চাপিলা ইউনিয়নের চক দিঘলীতে হতদরিদ্র ১০০টি পরিবারের বসবাসের জন্য সরকার আশ্রয়ণ ব্যারাক নির্মাণ করেন ১৯৯৮ সালে। ওই ব্যারাকে বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় সম্প্রতি সেগুলো ভেঙে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আধপাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।

১৮টি পরিবারকে বাদ দিয়ে তাদের নামীয় ঘরগুলো নতুন অন্য ১৮ জনকে জোর করে উঠিয়ে দিয়েছে চাপিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান। এ ঘটনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১নং আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই ২০ পরিবার।

ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান, রোজিনা বেগম, মফিজ উদ্দিন, সাইদুর, তহিদুল, আরতি, ইব্রাহীম, খোরশেদ, মন্টু, মজিদ, কেরামত, খবির, কাজলী বলেন, ব্যারাক নির্মাণের সময় ওই ঘরগুলো সরকার তাদের নামে বরাদ্দ দেন। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জোর করে তাদের নামিয়ে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঘরে তুলে দেন। তাদের ঘর ফিরে পেতেই তারা আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান তারা।

স্থানীয় সাবেক মেম্বার নাছির উদ্দীন জানান, ১৯৯৮ সালে ওই ঘরগুলো ওই পরিবারকে রেজিস্ট্রি করে দেয় সরকার। সেই থেকে তারা ওই ব্যাকে বসবাস করে আসছে। ওই ১৮ জন জীবিকার তাগিদে অনেকে ঢাকায় গার্মেন্টসে, অনেক বৃদ্ধরা মেয়ের বাড়ি গিয়ে ১-২ মাস থাকতেন। সেখান থেকে ফিরে এসে ওই ঘরেই থাকতেন তারা। এর মধ্যে ঘরগুলো আবাসের অনুপযুক্ত হলে তারা অনেক দিন আসেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্যদের দিয়ে ঘরগুলো জোর করে দখল করানো হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘরগুলো নির্মাণাধীন। ঘরে নতুন কাউকে তুলে দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। নির্মাণ কাজ শেষে হলে বিধিমোতাবেক প্রকৃত ভূমিহীনরা ঘর পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো মিথ্যা, বানোয়াট, রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে করানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষের ওই ব্যক্তিদের তিনি চেনেন না। তাছাড়া তারা দীর্ঘদিন সেখানে থাকেন না। কেন তার বিরুদ্ধে তারা মামলা করেছেন তা তার বোধগম্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার জানান, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সোনালী/সা