মশা তাড়ায় যেসব ফুল ও উদ্ভিদ
অনলাইন ডেস্ক: গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত প্রায় বারো মাসই আমাদের দেশে উৎপাত লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মশার যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। তবে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপকরণ আমাদের প্রকৃতিতেই আছে।
গাঁদা ফুল
গাঁদা বা গন্ধা একটি সুগন্ধী ফুল যা সর্বত্র সহজে জন্মায় এবং গৃহসজ্জায় ব্যবহৃত হয়। এটি Composite পরিবারের একটি সদস্য, বৈজ্ঞানিক নাম Tagetes erecta। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের দেখা যায়। এই ফুল সাধারণত উজ্জ্বল হলুদ ও গাঢ় খয়েরি হয়ে থাকে। তবে ফুলটি মশার জন্য যম। এ ফুল থাকলে মশা আসে না।
পুদিনা পাতা
সুগন্ধির জন্য পুদিনা পাতা অনেক বেশি জনপ্রিয়। পুদিনা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। কাশি, অরুচি ও পাকস্থলীর প্রদাহে পুদিনা উপকারী। পুদিনা পাতার চা বেশ জনপ্রিয় পানীয়। এছাড়া পুদিনা পাতা রুপচর্চায় ও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন প্রসাধনী এবং খাবারে বাড়তি রিফ্রেশমেন্ট তৈরি করে পুদিনা পাতা। এই পাতাটিও মশা তাড়াতে বেশ সহায়ক।
তুলসী
আদিকাল থেকেই তুলসী গাছ ঘরের আঙিনায় লাগানোর রীতি প্রচলিত আছে। তুলসীর একাধিক স্বাস্থ্য ও আয়ুর্বেদিক গুণ আছে। এ গাছ পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া তুলসীর ঝাঁজালো গন্ধ মশা দূরে রাখে।
ল্যাভেন্ডার
ল্যাভেন্ডার গাছের আশেপাশে কোনো পোকামাকড় আসে না। তার কারণ ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় এক ধরনের এসেনশিয়াল তেল থাকে। তাই এর সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে আসতে পারে না মশা।
সাইট্রোনেলা
সাইট্রোনেলা গাছ থেকে একধরণের সুগন্ধি বেরোয় যা মশা একদম সহ্য করতে পারে না। আর এই গন্ধ পেলেই মশা ধারে কাছেও ভিড়ে না। ৬-৭টি সাইট্রোনেলা গাছ ১ একর জায়গাকে মশামুক্ত রাখতে পারে।
রোজমারি
রোজমেরির ঘ্রাণে মশারা টিকে থাকতে পারে না।
লেমন গ্রাস
‘ঘাস খাও’- কথাটা ব্যঙ্গাত্মক অর্থে বুদ্ধিহীনতার উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার হলেও লেমনগ্রাস বা থাই পাতা খাওয়া কিন্তু মোটেই বোকার পরিচয় নয়। থাই সুপ তৈরিতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। তাই লেমনগ্রাস আমাদের কাছে থাই পাতা নামে পরিচিত। এর সুগন্ধ মনকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। আর লেমন গ্রাসের গন্ধ মশাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে।
সোনালী/ সা