ঢাকা | জুলাই ৩, ২০২৪ - ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা পরিচয়ে বেড়াতে এসে প্রবাসীর স্ত্রীকে খুন

  • আপডেট: Monday, July 1, 2024 - 1:34 pm

অনলাইন ডেস্ক: নাটোরের লালপুরের কামারহাটি তেনাচুরা এলাকার দুবাই প্রবাসী মো. সোহানুর রহমানের স্ত্রী শিউলি খাতুন (২৩) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়া প্রেমের জের ধরেই খুন হন প্রবাসীর স্ত্রী শিউলি খাতুন।

গ্রেফতার মো. জাকির হোসেন সুনামগঞ্জের গচিয়া গ্রামের মো. বিলাল মিয়ার ছেলে। গ্রেফতারের সময় জাকির হোসেনের নিকট থেকে শিউলির মোবাইল ফোন, দুই জোড়া রূপার নুপুর, স্বর্ণের চেইন, নাকফুল, দুটি রূপার আংটি, এক জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসামিকে উপস্থিত রেখে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে এসব তথ্য জানান।

দুপুরেই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগের দিন শনিবার সকালে লালপুর উপজেলার কামারহাটি তেনাচোরা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুবাই প্রবাসী মো. সোহানুর রহমানের স্ত্রী শিউলি খাতুন (২৩) প্রায় এক একমাস আগে গাজীপুর শহরের কোনাবাড়ীতে তার বড় বোন সোনালী খাতুনের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে আসামি জাকির হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরবর্তীতে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের বাসায় বসবাসকারী যুবক জাকির ও শিউলির মধ্যে।

গত ২৬ জুন জাকির হোসেন পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে গাজীপুর থেকে প্রথমবারের মতো লালপুরে শিউলির বাড়িতে মামার মিথ্যা  পরিচয়ে বেড়াতে আসেন।

তারিকুল ইসলাম বলেন, পাড়া প্রতিবেশীরা আগত যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে নিহত শিউলি তাকে মামা হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দেন। এই খবর একজন দুজন করে দুবাইয়ে শিউলির স্বামীর কাছে পৌঁছে যায়। এতে ফোনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে শিউলি ও জাকির হোসেনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে জাকির শিউলির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে শিউলিকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিহত শিউলির ভাই মো. রফিকুল ইসলাম (৩৪) লালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া এলাকা থেকে জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির হোসেন  হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলি ও লালপুর থানার ওসি নাসিম আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন।

 

সোনালী/ সা