ঢাকা | জুলাই ২, ২০২৪ - ৪:৪১ অপরাহ্ন

শাহরিয়ারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি আ’লীগ

  • আপডেট: Sunday, June 30, 2024 - 10:00 pm

সোনালী ডেস্ক: রাজশাহীতে দীর্ঘদিন ধরেই দুটি বলয়ে বিভক্ত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ যাবত দলীয় বিভক্তি একটি ‘পর্যায়ে’ খাকলেও সম্প্রতি তা রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। এনিয়ে অত্যন্ত নাখোশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

সম্পতি রাজশাহীর বাঘায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি নিয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড অত্যন্ত বিরক্ত। বিশেষ করে রাজশাহী-৬ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে নগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

আ’লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, সামগ্রিক বিষয়ে ইতোমধ্যে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানা গেছে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, রাজশাহীতে দু’ভাগে বিভক্ত হওয়া আ’লীগের একটি বলয়ের নেতৃত্বে আছেন দলের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-২ আসনের এমপি শফিকুর রহমান বাদশাসহ অন্যরা।

আরেক বলয়ে আছেন- রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ আসনের এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনসহ অন্যরা।

জানা গেছে, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়ে কঠোর হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা গণামাধ্যমকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভেতর বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছেন এবং তিনি এগুলো দমনের জন্য কঠোর অবস্থা নিতে ইতোমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক সম্পাদকদের তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলেছেন এবং এ তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যারা যে স্থানে দায়ী; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের ভেতর কোন্দল ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশেষ করে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেয়ার পর আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই তীব্র হয়। রাজশাহীতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। যারা দলীয় প্রতীক পেয়েছেন এবং যারা স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন তার মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে থাকেন এবং পরবর্তীতে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।

নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ভেতর এই বিরোধ আরো বাড়তে থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দফা এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আহ্বান জানালেও বাস্তব চিত্র তার উল্টো। মূলত এ কারণেই কঠোর সিদ্ধান্তের দিকে এগোতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।