ঢাকা | জুন ২৯, ২০২৪ - ২:১৮ অপরাহ্ন

বাঘায় সংঘর্ষে আহত আ’লীগ নেতা বাবুল নিহত

  • আপডেট: Wednesday, June 26, 2024 - 6:06 pm

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়।

গত শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপের ও বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ও দলিল লেখক অফিস ভাংচুর ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাঘায় থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আজ ২৬ জুন বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বাঘা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমিরুল ইসলাম আমুর ছেলে। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

এই ঘটনায় গত ২৩ জুন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় এ মামলাটি করেন। এ মামলায় মেয়র আক্কাছ আলীকে প্রধান আসামী করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল।

এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে আসামিরা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে।

এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে ছিলেন। আসামিদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার তার মৃত্যু হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। মামলার পর ৭জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।