হেয় করতে সাংবাদিক কাজী শাহেদের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর সাংবাদিক কাজী শাহেদের ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করতে আদালতে মামলা করেছেন রাজশাহীর আরেক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর আমলি আদালতে তিনি মামলাটি করেন। ওই মামলায় কাজী শাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন রফিকুল ইসলাম। এনিয়ে তার সম্পাদিত অনলাইনে সংবাদও করেছেন।
আদালতে করা মামলায় কাজী শাহেদ সম্পর্কে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাউজ বিল্ডিংয়ে প্লটে কাজী শাহেদের অন্য দুই অংশীদার জিয়াউল গণি সেলিম ও রোজিনা ইয়াসমিন।
তারা বলেন, ‘কাজী শাহেদ আমাদের সঙ্গে কোনো প্রতারণা করেননি। বরং রফিকুল ইসলাম ওই প্লটের সোয়া কাঠা জমি কিনতে চেয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বার বার বিলম্বিত করেছেন। কয়েক দফা সময় নিয়েও টাকা পরিশোধ করেননি বলে কাজী শাহেদ আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে আমরাও রফিকুল ইসলামকে বলেছি। উল্টো তিনি কাজী শাহেদকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন, যাতে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছেন।’
তারা আরও বলেন, ‘আগে থেকেই তার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল। কারণ ১৯ মে উকিল নোটিশ পাঠালেও ১৪ মে তিনি হাউজ বিল্ডিংয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। অর্থাৎ আগে থেকেই করা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজী শাহেদকে হেয় করতে রফিকুল ইসলাম মামলাটি করেছেন।’
মামলা প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাহেদ বলেন, ‘কেউ ক্ষুব্ধ হলে আদালতের আশ্রয় নিতেই পারে। কিন্তু কোনো সংবাদ প্রকাশ করলে শিষ্টাচার মেনে অভিযুক্তের বক্তব্য নেয়া প্রয়োজন ছিল। এখানে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এমনকি আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেননি প্রতিবেদক।’
শাহেদ আরও বলেন, ‘১৯ মে রফিকুল ইসলাম উকিল নোটিশ পাঠান। তার জবাবে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দুই লাখ টাকা তিনি আমাকে দিয়েছেন জমি কেনার আগাম হিসেবে। অবশিষ্ট টাকা দিলে জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়া হবে। আমি দুই লাখ টাকা নেয়ার কথা উকিল নোটিশে স্বীকার করেছি এবং বাকি টাকা পেলে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিতেও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছি। তার মানে ওই দুই লাখ টাকা আমি আত্মসাত করিনি। মামলার অভিযোগে আমার এ বক্তব্যটি রফিকুল ইসলাম অস্বীকার করেছেন এবং প্রকৃত সত্য গোপন করেছেন।‘
শাহেদ বলেন, ‘মামলার অভিযোগে রফিক বলেছেন, আমি দুই লাখ টাকা আত্মসাত করেছি-যা শুধু মিথ্যা নয়, আমার পেশাগত, ব্যক্তিগত ও সামাজিক অবস্থানকে হেয় করেছে। একটি অনুমোদনহীন অনলাইনে আমার ছবিসহ এমন প্রচারণার বিরুদ্ধেও আইনগত পদক্ষেপ নিবো।’