ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গরু ব্যবসায়ীকে বেঁধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক: গরু ব্যবসায়ীকে হাত-পা বেঁধে আটকে রেখে আড়াই লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসসহ (৩১) ছয়জনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ জুন) রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগটি করেন ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী (৪৮)।
আইয়ুব আলী আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী রোববার (৯ জুন) লালমনিরহাট আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হচ্ছিলেন।
এসময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে পাঁচ যুবক এসে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিলাসের কথা বলে তাকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যান। তারা প্রথমে লালমনিরহাট মর্গের নির্জন এলাকায় নিয়ে গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করেন। সেখানে বিলাস ছিলেন। এসময় মারপিট থেকে বাঁচতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি বিলাসের পা ধরেও রক্ষা পাননি আইয়ুব। মারধরের পর তারা তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা কেড়ে নেন।
এরপর বিজিবি ক্যান্টিন মোড়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বিলাসের ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে তার হাত-পা বেঁধে মারপিট করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অবশেষে তা আড়াই লাখে সমাধান হলে গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী তার স্ত্রীকে ফোন করে বিকেলে দুই লাখ ২০ হাজার আনিয়ে দিলে আইয়ুবকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিলে বা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
সোমবার (১০ জুন) লালমনিরহাট সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী। বাকি অভিযুক্তরা হলেন সৌরভ টেরা, রায়হান, রব্বানী, বাবু ও তুষার। তারা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিলাসের সঙ্গী।
আইয়ুব আলী বলেন, মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বিলাসের কাছে পৌঁছেই তারা আমাকে পেটাতে থাকে। যেভাবে নির্যাতন করেছে, তা বর্ণনা দেওয়ার মতো নয়। হাতে পায়ে ধরেও রক্ষা পাইনি। অবশেষে তাদের চাহিদা মতো আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বিকেলে মুক্তি পাই। দিনভর তাদের হাতে আটকা ছিলাম। বিলাসের ধারণা, আমি ভারতীয় গরুর ব্যবসা করি। তাই তার হিস্যার জন্য চাঁদা দাবি করেছে।
লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।