রাজশাহীর অবশিষ্ট পুকুর-জলাশয়গুলো সংরক্ষণের দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: জেলার অবশিষ্ট পুকুর ও জলাশয়গুলো সংরক্ষণের জোরালো দাবি জানিয়ে মহানগরীর সোনাদীঘি প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনের প্রতীকী নাম দেওয়া হয়েছিল ‘জলাধার বন্ধন’।
উন্নয়ন গবেষণাধর্মী যুব সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস, মহানগর সবুজ সংহতি, পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদ, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও বারসিক যৌথভাবে এটির আয়োজন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় একটি শহরের মোট ভূমির ১০ থেকে ১২ শতাংশ এলাকা জলাশয় ও ১৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আশঙ্কাজনক হারে রাজশাহীর প্রায় সব জলাশয়ই ভরাট হয়ে গেছে। বিপরীতে গড়ে উঠছে কংক্রিটের ভবন। গত ৫৯ বছরে রাজশাহীর জলাশয়ের প্রায় ৯৭ দশমিক ১৬ শতাংশ দখল ও ভরাট হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ৯৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাজশাহী শহরে ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ জলাভূমি এখন অবশিষ্ট আছে। তাই অবশিষ্ট পুকুর ও জলাশয়গুলো রক্ষা না করা গেলে পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়বে। সব প্রাণের জন্য অভিঘাত সহনশীল, নিরাপদ ও বাসযোগ্য মহাগরী তৈরিতে রাজশাহীর সব পুকুর, জলাশয়, জলাধার সংরক্ষণ করা জরুরি।
জলাধার বন্ধন কর্মসূচি শেষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে অবশিষ্ট পুকুর, জলাশয়, জলাধারগুলো সংরক্ষণসহ ৯ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সাধারণ সম্পাদক ও বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় ‘জলাধার বন্ধন’ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন, পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু, সেভ দি ন্যাচার অ্যান্ড লাইফের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি উপেন রবিদাস, ছাত্র ফেডারেশন মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনাসহ আরও অনেকে।