রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন ২৮ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এর আগে, গতবছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন। কিন্তু বিশেষ কোনো কারণ উল্লেখ না করেই ১ নভেম্বর এক নোটিশের মাধ্যমে সমাবর্তন স্থগিত ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর। সাক্ষাতকালে উপাচার্য রাবির দ্বাদশ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানালে তিনি ২৮ নভেম্বর সমাবর্তনে উপস্থিত থাকবেন মর্মে সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৩ সালে। সবশেষ অর্থাৎ একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর। প্রথম সমাবর্তনের পর ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬২, ১৯৬৫, ১৯৭০, ১৯৯৮, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম সমাবর্তন। মুক্তিযুদ্ধের আগের সমাবর্তনগুলোর বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালের ২২ এপ্রিল অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ উপাচার্য থাকাকালীন একটি বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ২৮ বছর বিরতির পর ১৯৯৮ সালের ২৯ নভেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেকের সময়ন সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর অষ্টম সমাবর্তনের আয়োজন করেন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান থাকাকালীন ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি নবম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় দশম সমাবর্তন। সবশেষ একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ওই সমাবর্তনে অংশ নিতে নিবন্ধন করেন তিন হাজার ৪৩১ জন। সবশেষ দুই সমাবর্তনের উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।
সোনালী/ সা