ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১:২৮ পূর্বাহ্ন

পবায় পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির দায়ে ১৩ ট্রাক্টর জব্দ

  • আপডেট: Friday, June 7, 2024 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলায় অবৈধভাবে পুকুরের মাটি খনন ও বিক্রির দায়ে তাদের ১৩ ট্রাক্টর জব্দ ও ৪টি খননযন্ত্র স্কেভেটর অকেজো করে ৮টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে।

পবায় অবৈধভাবে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহন ও বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের হাট রামচন্দ্রপুর ও সিরোলিয়া গ্রামে এবং বড়গাছী ইউনিয়নের ভালাম ও ভবানীপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়নের ভালাম গ্রামের প্রভাবশালী স্থানীয় মেম্বার স্বপন ও ছাত্রলীগ নেতা রাজু এবং পারিলা ইউনিয়নের হাট রামচন্দ্রপুর গ্রামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পুকুর সংস্কারের নামে ১০-১২ ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি খনন ও অবৈধভাবে পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করছিলেন।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অভিজিত সরকার আরএমপি’র পবা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতিকারীরা তার উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর ও মাটি খননযন্ত্র স্কেভেটর রেখেই পালিয়ে যায়।

চক্রটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় অবৈধভাবে পুকুরের মাটি খনন ও বিক্রির দায়ে তাদের ১৩টি ট্রাক্টর জব্দ ও ৪টি খননযন্ত্র স্কেভেটর অকেজো করে ৮টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার বলেন, পারিলা ও বড়গাছী ইউনিয়নে সরকারি অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত দিনে-রাতে পুকুর সংস্কারের নামে মাটি পরিবহন ও বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে। প্রসাশনের অনুমতি না নিয়ে কেউ পুকুর সংস্কার করতে পারবে না।

আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে মাটি পরিবহন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে আরএমপি’র পবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা অবৈধভাবে পুকুর খননের নামে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রি করে আসছিলেন।

প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় অবৈধভাবে মাটি পরিবহন করে বিক্রির দায়ে তাদের ১৩টি ট্রাক্টর জব্দ ও ৪টি খননযন্ত্র স্কেভেটর অকেজো করে ৮টি ব্যাটারি জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।