ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৫:৪২ পূর্বাহ্ন

ভোটের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে, দাবি বাঘার পরাজিত প্রার্থীর

  • আপডেট: Friday, June 7, 2024 - 12:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গণনা এবং অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ভোট গণনা ও ফলাফল তৈরিতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ সময় তিনি জনগণের ভোট পেলেও বাঘা উপজেলার কৃষি, আনসার ভিডিপি, বিআরডিবি, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার যোগসাজশ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাকে পরাজিত দেখিয়েছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৫ জুন) অনুষ্ঠিত বাঘা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল অনুসারে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত লায়েব উদ্দিন লাবলু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪০৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৯৯ ভোট। উভয়ের ভোটের ব্যবধান মাত্র ১০৬টি।

সংবাদ সম্মেলনে মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু দাবি করেন, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদে একত্রে অভিন্ন ব্যালটে নির্বাচন হলেও তিন পদে মোট প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোটের সংখ্যা ও ভোটের হার এক নয়, অভিন্ন। অথচ নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী তিন পদের প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অভিন্ন হতে পারে, তবে সকল পদে ভোটারদের প্রদত্ত (কাস্টিং) ভোটের সংখ্যা একত্রে সমান হবে।

প্রার্থী রোকনুজ্জামান রিন্টু আরও দাবি করেন, ভোট গণনার সময় বেশ কিছু কেন্দ্র থেকে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সকল পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এছাড়াও ঐসব কেন্দ্রের ফলাফল শিটে আনারস প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি এমনকি তাদেরকে ফলাফল শিটও দেয়া হয়নি। এসব ঘটনা পরিকল্পিত।

এসময় তিনি দাবি করেন, নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা বাঘা উপজেলার ৫ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই ভোটের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে গণনায় অনিয়ম করা হয়েছে। এই অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তারা হলেন, বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুলতান শফিউল্লাহ জনি, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিলন দাস, বিআরডিবি কর্মকর্তা ইমরান আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ফ.ম হাসান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুুপারভাইজার মাহমুদুল হাসান খান।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক কমিশনের সচিব বরাবর প্রদত্ত লিখিত অভিযোগ উপস্থাপন করেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রোকনুজ্জামান রিন্টু। এসময় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক কবির এবং বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সোনালী/জেআর