ঢাকা | ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪ - ৯:৪২ অপরাহ্ন

জোটগত কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে ১৪ দল

  • আপডেট: Tuesday, June 4, 2024 - 8:22 pm

সৃষ্ট গোলমাল দ্রুতই নিরসনের উদ্যোগ

সোনালী ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, জোটের সমস্যা সমাধানে ঈদের আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে, ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং ঈদের পর জোটগতভাবে ইতিবাচক কর্মসূচি দেয়া হবে।

এছাড়া জোটে যে গোলমাল তৈরি হয়েছে, তা দ্রুতই নিরসন করা হবে বলেও জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র।

মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসায় জোটের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, বিগত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে যেটুকু গোলমাল তা নিরসন করার জন্য শিগগিরই আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে, সেগুলো নিরসন করে ঈদের পর থেকে আমরা ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করবো, তার মাধ্যমে এগিয়ে যাবো।

জোটের অভিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে মঙ্গলবার বৈঠক হয়েছে বলে উল্লেখ আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— ১৪ দল সাম্প্রদায়িক শক্তি ও আন্তর্জাতিক বলয়ের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি আদর্শিক জোট। এটা কোনও চাওয়া-পাওয়ার জোট নয়। সেই আদর্শের জোট হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল আছে, থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবে। কারণ, আমরা মনে করি— আদর্শিক যে সংঘাত, সেই সংঘাতের শক্তিরা শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত, সেটা মোকাবিলা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়— সিন্ডিকেট আছে। যদি সিন্ডিকেট থেকে থাকে এবং সরকারের জানা থাকে— তাদের বিষয়ে সরকারের সক্রিয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যাতে করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণ যে অসুবিধায় আছে, তার সুরাহা হয়, তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, আপনারা স্থির থাকতে পারেন— ১৪ দল ছিল, আছে এবং থাকবে। যে শক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দল গঠিত হয়েছিল, সেই শক্তি এখনও তৎপর, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং থাকবো।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সরকার তৎপর। এই ব্যাপারে আমাদের বক্তব্যের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার না।

দায়িত্বে থাকাকালীন এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এতবড় দুর্নীতির অভিযোগ কীভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নে আমু বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ সরকার গঠন করবে, সরকার প্রমাণ করবে। থাকলে প্রমাণ হবে, শাস্তি হবে। জোটগতভাবে আমাদের কোনও মন্তব্য আছে বলে মনে করি না।

এই ঘটনায় আপনারা বিব্রত কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা বিব্রত নই। কারণ মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে, দেশের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ দুর্নীতি করে ধরা পড়লে, তার জন্য আমাদের বিব্রত হওয়ার কারণ নেই। যারা দোষী, ধরা পড়বে, শাস্তি পাবে। তার জন্য আমরা বিব্রত হবো কেন?

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ১৪ দল অবস্থান নিয়েছে। এবারও যে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট। এই দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সরকারের যে অর্জন রয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হবে। সেটা বেনজীর হোক, আজিজ হোক।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ, গন আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।