ঢাকা | মে ৫, ২০২৫ - ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

পাবনায় রাতের আঁধারে গরু চুরির ঘটনায় বিপাকে গরু পালনকারীরা

  • আপডেট: Monday, June 3, 2024 - 9:52 pm

কলিট তালুকদার, পাবনা থেকে: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গেল কয়েক দিনে পাবনা সুজানগরে রাতের আধারে গরু চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছে গরু পালনকারীরা। চুরি ঠেকাতে রাতে জেগে পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসি। পুলিশ বলছে গরু চুরি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

আর ক’দিন পরে কোরবানি ঈদ। কোরবানির ঈদসহ দুধ উৎপাদনকে ঘিরে পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ও রাণীনগর গ্রামের অনেকেই গরু পালন করে থাকে।

তবে গরু পালন কারীর অনেকের এবার মথায় হাত। গত কয়েক দিনে ওই দুই গ্রাম থেকে একের পর এক চুরি হচ্ছে গরু। এতে আতংকে আছে দুই গ্রামের গরু পালনকারীরা।

চুরি হওয়া গরুর মালিকেরা জানান, সারা দিন পরিশ্রম শেষে প্রতিদিনের ন্যায় রাতে গোয়াল ঘরে গরু বেঁধে ঘুমাতে যান। ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে দেখে গোয়াল ঘরে রাখা গরু কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। এভোবে গত কয়েক দিনে আহম্মদপুর ও রাণীনগর গ্রাম থেকে চুরি হয়েছে অন্তত দশটি গরু।

আহম্মদপুর গ্রামের আসমা খাতুর বলেন, তার গোয়াল ঘরে তার তিনটি গরু বাঁধা ছিল। রাতের কোন এক সময় চোরের দল একটি গরু চুরি করে। বাঁকি গরু গুলোও চুরি করতো। ঘরে আমার ছেলে কথা বলায় চোরের দল চলে যায়। সকালে উঠে দেখি রান্ন ঘর থেকে দাঁ নিয়ে গিয়ে গরুর গলার দড়ি কেটে দাঁটি রান্না ঘরেই রেখে গেছে।

এর পর থেকে গরু দুইটি শিকল দিয়ে বেঁধে রাখি। রাতে আমি ও আমার ছেলে পালা করে পাহারা দিই। একই এলাকার নবীর হোসেন বলেন, আমার দুইটি গরুর মধ্যে একটি গরু চুরি হয়েছে। বাঁকি একটি গরুও চুরি হতে পারে এমন আশংকায় গরুটি কম দামে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।

অথচ গরুটি আরো কিছুদিন পরে বিক্রি করলে বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম। আহম্মদপুর গ্রামের শিপন হোসেন বলেন, এভাবে রাতের আধারে একের পর এক গরু চুরির কারণে এলাকার অনেক গামারী মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গরু পালন থেকে।

আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, এলাকায় বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। গরু চুরি প্রতিরোধে গ্রাম পুলিশ ও গ্রামবাসীদের সমন্বয়ে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোষ্ট স্থাপন করে পাহারা জোরদার করা হয়েছে।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS