ঢাকা | মে ৯, ২০২৫ - ১০:০৯ অপরাহ্ন

মামলায় জামিন পেয়েই প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও পানবরজে হামলা

  • আপডেট: Wednesday, May 29, 2024 - 12:39 pm

অনলাইন ডেস্ক: মারামারি মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়েই রাজশাহীর বাগমারায় প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও পান বরজে হামলা চালিয়ে তিনটি পান বরজের পান লুটপাট ও পানগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের মাঝিগ্রামে।

এলাকাবাসী জানায় দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার মাঝিগ্রামের শুকচাঁন ও রুপচাঁনের সাথে তাদের বোন জামাই আইনুল হকের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জের ধরে শুকচাঁনের জামাই ইলিয়াস আহম্মেদ শ্বশুরের পক্ষ নিয়ে আইনুল হকের সাথে ঝামেলায় জাড়াই। ওই ঝামেলাকে কেন্দ্র করে গত ১৪ মে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ইলিয়াস আহম্মেদ, ইমরান হোসেন ও তাদের ভাড়াতে বন্ধু সাগর হোসেন মিলে আইনুল হকের পথ রোধ করে মারধর শুরু করে।

খবর পেয়ে আইনুল হকের দুই ছেলে ও স্ত্রী তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয় লোকজন ত্রিপুল নাইনে ফোন দিলে এ্যাম্বুলেন্সসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

গত ১৯ মে আইনুল হক বাদী হয়ে ইলিয়াস আহম্মেদ, ইমরান হোসেন ও সাগর হোসেনকে আসামী করে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন. যার মামলা নং ২৮। গত ২৬ মে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে এসেই প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও পান বরজে তান্ডব চালানো শুরু করেন আসামী ইমরান হোসেন, সাগর হোসেন। তাদের সাথে যোগ দেন শুকচাঁন আলী, রুপচাঁন আলী, জিল্লুর রহমান, বিপুল মন্ডল, আনজুয়ারা বেগম ও রনজিতা খাতুন।

ক্ষতিগ্রস্ত আহম্মেদ আলীর অভিযোগ, মারামারির পর থেকেই তারা গ্রামে ঢোকতে পারেননি। অভিযুক্তদের সাথে তার কোন ঝামেলা নেই। তার ছোট ভাই আইনুল হকের সাথে তাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জের ধরে তারা আমার ও আমার ছেলের দুইটি পান বরজের পান লুট করে নিয়ে গেছে।

এছাড়াও তার ছোট ভাই আইনুল হকের বাড়িঘরে ভাংচুর লুটপাট ও একটি পান বরজে পান লুট করে পানের ডাটা কেটে ছয়লাভ করেছে। বর্তমান বাজারে পানের মূল্য তির থেকে চার লক্ষ টাকা হবে। আতংকেই তাদের দিন কাটছে। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ কর্মীর ছত্রছায়ায় ইমরান হোসেন ও ইলিয়াস আহম্মেদ একটি কিশোর গ্যাং তৈরী করেছেন। ওই গ্যাংগের নেত্রীত্বে ছিলো নিহত ইলিয়াস। এলাকায় তারা মারামারি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতেন। তিনি অবিলম্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

সোনালী/ সা

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS