ঢাকা | নভেম্বর ২৫, ২০২৪ - ১:৫২ অপরাহ্ন

এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড

  • আপডেট: Sunday, May 26, 2024 - 11:29 pm

নিজস্ব প্রতিবেদক: এমন একটি দিনের অপেক্ষাতেই ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভক্তরা। প্রায় সবকিছু হারাতে বসা ইউনাইটেড সমর্থকরা এদিন হয়তো প্রাপ্তির আশা নিয়েই বসেছিলেন ওয়েম্বলি’র গ্যালারিতে। হতাশ হতে হতে এবার আর তাদের হতাশায় ডুবায়নি টেন হাগের দল। ইংল্যান্ডের ফুটবলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নগর প্রতিদ্বন্দী ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের ১৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে ইউনাইটেড।

এফএ কাপের ফাইনালের আগেই ম্যানইউ কোচ এরিক টেন হাগের ভাগ্য নির্ধারণের খবর প্রকাশ করেছিল ইংলিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান। বলা হয়েছিল, এই ম্যাচে ফলাফল যাই হোক না কেন, ইউনাইটেড কোচের পদে টেন হাগের থাকা হচ্ছে না। নিজের এই সম্ভাব্য শেষ ম্যাচে যেন কর্তৃপক্ষকে বড় বার্তা দিলেন টেন হাগ। এফএ কাপের শিরোপা জিতে।

এই জয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী সিটির বিপক্ষে একটি প্রতিশোধও নেওয়া হলো ইউনাইটেডের। গত বছরও এফএ কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড-সিটি। ইউনাইটেডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল সিটি। এ ছাড়া ইউনাইটেড জায়গা করে নিয়েছে ইউরোপা লিগেও।

ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটা সময়ে ইউনাইটেড খেলেছে পুরোপুরি রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতে। সুযোগ বুঝে এগিয়েছে আক্রমণের দিকে। রাফায়েল ভারানে এবং লিসান্দ্রো মার্টিনেজে গড়া ইউনাইটেড রক্ষণভাগ নিজেদের কাজটা করেছে দুর্দান্তভাবে। সিটির আক্রমণ ভাগের মূল ভরসা আর্লিং হালান্ডকে দুজনেই রেখেছেন কড়া মার্কে। নার্ভাস হালান্ড একের পর এক সুযোগের সামনে থেকে হতাশ হয়েছেন। আর ফিল ফোডেন, বার্নার্ডো সিলভা কিংবা কেভিন ডি ব্রুইনার ওপর বেড়েছে চাপ। অতিরিক্ত প্রেসিং আর অ্যাটাকিং ফুটবল খেলতে যাওয়া সিটি পরাস্ত হয়েছে ইউনাইটেডের কাউন্টার অ্যাটাকে।

ইউনাইটেডের মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা একটি বল বাঁচাতে পোস্ট থেকে বেরিয়ে আসেন সিটির গোলকিপার স্টেফান ওর্তেগা। অন্যদিকে, ওর্তেগাকে সাহায্য করতে বলের পেছন পেছন দৌড়ে আসেন ইয়োস্কো গাভার্দিওল। দৌড়ে এসে তিনি হেডে ব্যাক পাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ওর্তেগাকে। কিন্তু বল চলে যায় এগিয়ে আসা ওর্তেগার মাথার ওপর দিয়ে।

সেই বল ধরে ফাঁকা জালে পাঠিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গারনাচো ৩০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পর যেন আরও উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে ইউনাইটেড। ৮ মিনিট পর রাশফোর্ড আবার সিটির জালে বল পাঠান। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি গোল দেননি রেফারি। তবে পরের মিনিটেই স্কোরলাইন ২-০ করেন কোবি মাইনু। গোলটি ছিল দলীয় খেলার অসাধারণ এক উদাহরণ।

সিটি অবশেষে গোলের দেখা পায় ৮৭ মিনিটে। বক্সের ঠিক ওপরে বল পেয়ে ডকু ডান পায়ের জোরালো শট নেন। সেটি ইউনাইটেড গোলকিপার ওনানার হাতে লেগে ঢুকে যায় জালে। এরপর যোগ করা ৭ মিনিট মিলিয়ে গোল শোধের জন্য ১০ মিনিট সময় পায় সিটি। কিন্তু গোল আর শোধ করা হয়নি তাদের।

 

সোনালী/ সা