ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

স্বামীর দেওয়া জমি ফিরিয়ে না দেওয়ায় খুন হন নাহার

  • আপডেট: Tuesday, May 21, 2024 - 12:35 pm

অনলাইন ডেস্ক: মাত্র সাড়ে সাত শতাংশ জমি ফিরিয়ে না দেওয়ায় স্বামী, সতিন ও তাদের সঙ্গীরা নাটোরের বড়াইগ্রামে গৃহবধূ নাহার বেগমকে হত্যা করেছে। পরে তারা নিহতের লাশ একটি ঘাসের জমিতে ফেলে রেখে আসেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এ ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ ও র‌্যাব-৫।

সোমবার র‌্যাব-৫ এর সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর হাসান মাহমুদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের বাক্কাস আলী প্রামাণিকের মেয়ে ও মুল অভিযুক্ত বড়াইগ্রামের মৌখাড়া গ্রামের লোকমান সাকিদারের প্রথম স্ত্রী।

এ ঘটনায় গ্রেফতার আসামিরা হলেন- মুল অভিযুক্ত উপজেলার মৌখাড়া গ্রামের লোকমান সাকিদার (৫৫), তার দ্বিতীয় স্ত্রী তারা বেগম (৪৫), বৃষ্ণপুর গ্রামের বখশ মিয়া (৪৭), আগ্রান গ্রামের আব্দুল করিম (৪৩), নাটোর সদরের ইব্রাহিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৮), গুরুদাসপুরের সোনাবাজু গ্রামের শাহ মাহমুদ ওরফে মাদাইয়ের ছেলে মাজেম আলী (৫৫) এবং মৃত ওসমান প্রামাণিকের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৪৫), শাহানুর (৩২) ও আব্দুল মতিন (৪০)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর পূর্বে লোকমান সাকিদার ৭.৫ শতাংশ জমি দিয়ে নাহার বেগমকে (৪২) বিয়ে করেন। প্রায় দুই বছর পূর্বে লোকমান পুনরায় তারা বেগমকে (৪৫) বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই লোকমান নাহারের কাছে জমিটি ফেরত চান; কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় লোকমান অপর আসামিদের নিয়ে তাকে মারপিট করতেন। নির‌্যাতন অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছলে ওই গৃহবধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বড়াইগ্রামের পারকোল গ্রামে তার বোন আজমি আরা বেগমের বাড়িতে চলে যান।

গত ১১ মে লোকমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সেখানে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে নিয়ে যান। দুই দিন পর লোকমান জানান যে, নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ১৬ মে বৃহস্পতিবার কালিকাপুর বেড়পাড়া এলাকায় ঘাসের জমিতে অর্ধগলিত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ভাই লাশের পরিচয় শনাক্ত করাসহ থানায় হত্যা মামলা করেন।

এরপর পুলিশ মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি র‌্যাব-৫ ছায়া তদন্তে নেমে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর চার আসামিকে গ্রেফতার করে।

তবে বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব মুল অভিযুক্তসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করলেও হত্যার রহস্য নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 

সোনালী/ সা