যুব পরিষদের এই নেতার নাম আবদুল ওয়াকিল ওরফে রাসেল। তিনি সংগঠনটির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি।
আবদুল ওয়াকিলের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী মহল্লায়। তাঁর বাবার নাম আবদুল হামিদ। ওয়াকিল স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুলের শিক্ষক।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সিআইডির রাজশাহী জেলা ও মহানগরের বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল জলিল বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে আমরা কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। আবদুল ওয়াকিলকেও আমরা তুলে আনিনি। অন্য কেউ তুলে নেওয়ার সময় সিআইডির নাম বলতে পারে।’
ওয়াকিলের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সাদাপোশাকে সাত-আটজন ব্যক্তি তাঁদের বাসায় যান। তাঁরা অটোরিকশায় এসেছিলেন। ওয়াকিলকে নিয়ে তাঁরা অটোরিকশাতে করেই ফিরেছেন। যাঁরা বাসায় এসেছিলেন, তাঁরা নিজেদের সিআইডি সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। স্কুলে ঝামেলার কথা জানিয়ে তুলে নেওয়া হলেও সেখানে কোনো ঝামেলা হয়নি।
পরিবারের সদস্যরা গতকাল সারা দিন সিআইডি কার্যালয় ও থানাসহ অন্যান্য স্থানে খোঁজ নিয়েও ওয়াকিলের কোনো সন্ধান পাননি।
আজ শুক্রবার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ। তিনি জানান, আবদুল ওয়াকিল সাম্প্রতিক সময়ে একটি দেশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোচ্চার ছিলেন। রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করতে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ওয়াকিল নিখোঁজ থাকলেও আজ বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়নি। প্রয়োজন হলে জিডি করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী শ্যামলী খাতুন।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ বলেন, ‘ওয়াকিল আমাদের কাছে নেই। আমরা তাঁর বিষয়ে কিছু জানি না। নিখোঁজের বিষয়ে কোনো জিডিও হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি হলে আমরা তাঁর সন্ধান পেতে কাজ করতে পারি।’
সোনালী/ সা