রাণীনগরে বাদাম চাষে ঝুঁকছে চাষি
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যাপক ধান চাষের পাশাপাশি চলতি খরিপ ও রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সাদা সোনা খ্যাত বাদাম চাষের দিকে কৃষকরা দিনদিন ঝুঁকে পড়ছে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই উপজেলায় বাদাম চাষ।
স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা এই ফসল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে বোরো ধানের পাশাপাশি বাদাম চাষ সবুজের ডানা মেলেছে। কৃষকরা আশা করছেন ভালো ফলন ও আশানুরুপ বাজার দর পেলে তাদের মুখে ফুটবে নতুন ফসলের হাসির ঝিলিক।
নওগাঁ জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগরে এবার বাদাম চাষে দিন দিন প্রায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিচ্ছে। বিশেষ করে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর দুই ধারে এবং দো-আশ ও বেলে জাতীয় মাটিতে বাদাম চাষ বেশি হচ্ছে।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরে বাদামের ভাল ফলন ও দাম আশানুরূপ পাওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।
গত কয়েক বছরগুলোতে চাষিদের উৎপাদিত অন্যান্য কৃষিজাত ফসলে লোকসান হওয়ার কারণে এলাকার চাষিরা বাদামের আবাদ মনোযোগ দিচ্ছে। ফলন ও দাম ভাল পেলে চাষিদের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয় বাদামের তেমন একটা ক্ষতি হয় না।
প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় আড়াই টন পর্যন্ত বাদাম হয়। ধান চাষের পরেই এলাকায় অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি সাদা সোনা খ্যাত বাদাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। উপজেলা কাশিমপুর সাহানা পাড়া গ্রামের বাদাম চাষি রইচ উদ্দিন বলেন, আমি ছোট যমুনা নদীর তীরে নিজের জমিতে বোরো ধানের চাষ করতাম। কিন্তু ধানের জমি কিছুটা কমিয়ে বাদাম চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। রোগবালাই মুক্ত থাকায় আশা করছি ভাল ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা হক বলেন, মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বাদাম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে চলতি খরিপ ও রবি মৌসুমে চাষিদের রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে কৃষকদের গঠন মূলক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এই ফসলে এমনিতেই তেমন কোন রোগ-বালাই আক্রান্ত হয় না। দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা দিনদিন বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।