ঢাকা | অক্টোবর ৭, ২০২৪ - ১১:১৩ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে দুই নেতার দ্বন্দ্বে স্কুলের পাঠদান ব্যহত

  • আপডেট: Monday, May 6, 2024 - 12:05 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতার দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে গত ৫ দিন ধরে দুটি তালা ঝুলিছে।

ফলে প্রধান শিক্ষক তাঁর কার্যালয়ে ঢুকতে পারেছেন না। এ অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অযাচিত এই পদ দখলের স্বপ্ন দেখে তালা লাগানো ব্যক্তিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ কারণে শিক্ষকরাও দুইভাগে বিভক্ত। সর্বশেষ রবিবার স্কুলে গিয়েও নিজ কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন নি প্রধান শিক্ষক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি পক্ষ তাকে অবৈধ ক্ষমতার বলে তাকে স্কুল থেকে তাড়ানোর বৃথা পায়তারা করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার স্কুলের নতুন সভাপতির পরিচিতি সভা ছিলো। ওইদিন বিদ্যালয়ে এসে দেখেন প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। খবর পেয়ে পুলিশ এলেও কোনো সমাধান হয়নি। রবিবারেও নগরীর সপুরা এলাকায় অবস্থিত এই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে দুটি তালা ঝুলছে।

মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহেদুন নবীকে শিক্ষা বোর্ড ওই স্কুলের সভাপতি করে নতুন কমিটি দিয়েছে। সেই কমিটির পরিচিতি সভা ডাকা হয়েছিলো। কিন্তু তিনি বিদ্যালয়ে এসে দেখেন প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। প্রধান শিক্ষক তাঁর কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি। তাঁরা সভাও করতে পারেননি।

 আগের কমিটির সভাপতি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘আমার কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৫ মে। তারপর নতুন কমিটি দায়িত্ব নেবে। এ বিষয়ে তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের একটি চিঠিও দেখান।

প্রধান শিক্ষক খোন্দকার নাহিদা নাসরিন বলেন, নতুন একটি কমিটি হলে পুরোনো কমিটির আর অস্তিত্ব থাকে না। সেই হিসেবে নতুন কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। একটি সভা করেছে। বৃহস্পতিবার সেই কমিটির সদস্যরা পরিচিতি সভা করতে এসেছিলেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক জিয়াউল হক বলেন, ‘নতুন কমিটি ১৬ মে থেকে দায়িত্ব পালন করবে। এ বিষয়ে আমরা একটি সংশোধনী আদেশ জারি করেছি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোন্দকার নাহিদা নাসরিন বলেন, পুরনো সভাপতি তার নানা অপকর্ম ঢাকতে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লতিফাকে মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত বানিয়ে তার মাধ্যমে কমিটির প্রতিনিধিদের নানা বিষয়ে সাক্ষর আদায়ের চেষ্টা করছেন। আর ওই সভাপতির হয়ে স্থানীয় মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি স্কুলের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষককে বহিস্কার করা হয়েছে বলে লিখে দিয়েছেন যা বিধি বহিভূত।

 

সোনালী/ সা