কুয়ালালামপুরে ডুয়ামের মেগা ইভেন্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মাননা প্রদান
অনলাইন ডেস্ক: মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মেগা ইভেন্ট। অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশিদের গৌরবগাঁথা অর্জনগুলো সকলের নিকট তুলে ধরা। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী কুয়ালামপুরের ক্লাব আমানে ডুয়াম কর্তৃক অনুষ্ঠিত মেগা ইভেন্টে, আউটস্ট্যান্ডিং বাংলাদেশি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের সম্মান জানানো হয়।
এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ১ শতাংশ, ২ শতাংশ সাইটেড সায়েন্টিস্টসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রফেসরদের সম্মানিত করা হয়। এ ছাড়াও মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা রাঙ্কিং এ আছে তাদেরকেও সম্মানিত করা হয়। প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে যারা প্রফেশনালি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকেও সম্মানিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন নাহারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিপুণতার সঙ্গে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সকল প্রবাসীদের এক যোগে কাজ করার আহবান জানান হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গর্বের জায়গা। যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া শেষ করে বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, হাই কমিশনার মোঃ শামীম আহসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এর পলিটিকাল সাইন্স ডিপার্টমেন্ট হতে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়ে ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিব আলমগীর চৌধুরী আকাশ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে, এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের সিলেকশন প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ইভেন্ট অর্গানাইজিং কমিটির ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন টিমের সদস্য হিসাবে ছিলেন আনিকা ইসলাম অর্পা এবং ইসমাত জাহান ঈশিতা। তাদের দুজনের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান নতুন মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে যে সকল বাংলাদেশিরা শিক্ষা এবং কমিউনিটি উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন তাদেরকে ৩ ক্যাটাগরিতে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি অ্যাকাডেমিশিয়ান হিসেবে বিভিন্ন বিশ্বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষককে, অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে ১৬ জন এবং অ্যাক্সিলেন্স বাংলাদেশী প্রফেশনাল হিসেবে ৩জন সর্বমোট ৩৫ জনকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সাংবাদিক আহমাদুল কবির, মোস্তফা ইমরান রাজু ও মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেন্টার ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অফ আই আই ইউ এম এর ডীন প্রফেসর শাহরুল বিন নাঈম সাদিক, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক ব্যাংকিং এন্ড ফাইন্যান্স এরডেপুটি ডীন প্রফেসর রোমজি বিন রোসমান, ইউনিভার্সিটি মালয়াসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়ান লোকাল ডীন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর কনসুল্যর মো: মোর্শেদ আলম, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মাহবুব আলম শাহ। লায়ন হারুন উর রশিদ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভারত সহ প্রায় ১০টি দেশের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাইসা তাহসিন অহিয়া, মহুয়া, মো. মামুনুর রশিদ , কাজী শারমিন রহমান রুম্পা, মো. পলাশ হোসেন এবং মালয়েশিয়ান সঙ্গীত শিল্পী ফাতিহা, কবিতা আবৃত্তি করেন রাবাকা সুলতানা জেরিন, পহেলা বৈশাখের নাচে মোহবৃষ্ট করে রাখেন শুভ্রা এবং জাদু পরিবেশন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার প্রফেসর ড. মোতাকাব্বির।
পুরো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাফেল ড্র যেখানে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় এনজেড ট্রিপের পক্ষ থেকে কুয়ালামপুর টু ঢাকা বিমান টিকেট, দ্বিতীয় পুরস্কার কুয়ালালামপুর টু লাংকাউই বিমান টিকেট, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় কুয়ালালামপুর টু পেনাং বিমান টিকেটসহ মোট ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার।
সোনালী/ সা