পুঠিয়ায় ১০ চাকার ট্রাক গিলে খাচ্ছে কোটি টাকার সড়ক

পুঠিয়া প্রতিনিধি: পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং থানার সঙ্গে ট্রাক মালিকদের সমঝোতা থাকায় সারারাত উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টাক্টর ও ১০ চাকার ড্রাম ট্রাকগুলো পুকুর খননের মাটি পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে উপজেলার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সড়কগুলো নির্মাণ করা ও সংস্কার কাজ শেষ না হতে পূর্বের ন্যায় গর্ত ভাঙাচুড়া আকার ধারণ করছে। সড়কে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
শিলমাড়িয়ায় ইউনিয়নে একজন প্রভাবশালী নেতার সাতজন অনুসারী মিলে একটি পুকুর খনন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবশ্য তাদের টাকা দিলে পুকুর খনন করতে দিচ্ছেন।
খননের টাকা ওই নেতার নিকটে পৌঁছে দিতে হয়। এদিকে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা হলে কোনো জরিমানা হয় না। আর সমঝোতা না হলেই জরিমানা হয় বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলার প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মোট ৬শ’ ৪৫ কিমি সড়কপথ রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়কের রয়েছে ৩শ ৩৪ কিলোমিটার। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের কাজ চলছে। পুকুর খননকারীদের মাটি পরিবহন কাজে নিয়োজিত প্রতিদিন অর্থশতাধিক ১০ চাকার ড্রামট্রাক ও ট্রাক্টর উপজেলার গ্রামীণ সড়কগুলোতে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেশিভাগ ট্রাকের আবার লাইসেন্স নাম্বার নেই।
একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, রাতেরআধাঁরে ৩০/৪০ টন মাটি নিয়ে তিব্র গতিতে যখন ট্রাকগুলো যাতায়াত করছে, তখন সড়কের পাশে থাকা ঘরবাড়িগুলো কেঁপে উঠছে। সড়কের পাশে থাকা সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম হচ্ছে। ট্রাকের অতিরিক্ত ওজনের কারণে সড়কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিন স্থানীয় গ্রামীণ সড়কগুলো নষ্ট করার সংবাদ সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষরা উপজেলা প্রশাসন এবং থানার নিকট দিচ্ছেন। কিন্তু তারা কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।
যার কারণে সংস্কার বা নির্মাণ করা শেষ না হতে সড়কগুলো পূর্বের ন্যায় গর্ত ভাঙাচুড়া আকার ধারণ করছে। এর ফলে সড়কগুলো মানুষদের চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। পরবর্তী সময়ে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ সাইদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে রাজশাহীতে থাকার কথা বলে ফোন কেটে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ড্রামট্রাকের বিরুদ্ধে জরিমানা করেছি। আগামীতে আরো কিছু ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। তবে পুকুর খননকারীর বিরুদ্ধে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে পুকুর খনন করা বন্ধ হবে না।
সোনালী/জেআর