রংপুরে স্ত্রীর মামলায় জামিন নিতে স্ট্রেচারে আদালতে স্বামী
অনলাইন ডেস্ক: পারিবারিক বিরোধের জেরে ১৯ মার্চ স্ত্রীকে চড় দেন আফজালুল হক (৫৩)। স্ত্রী আকতারা বেগম (৪৭) এ ঘটনা জানান ভাইদের। ক্ষুব্ধ হয়ে দুলাভাইকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেন শ্যালকেরা। ৩১ মার্চ দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন আফজালুল হক।
কিন্তু ওই মামলা ও পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে শ্যালকেরা বোনকে দিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের মামলা করেন। পুলিশ বারবার তাকে গ্রেফতার করতে বাসায় যাওয়ায় বাধ্য হয়ে রোববার স্ট্রেচারে করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন আফজালুল হক। আগাম জামিন প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর করেন রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হকের আদালত। এ নিয়ে আদালত পাড়ায় কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
এদিকে স্বামীর জামিনের খবর শুনে আদালত চত্বর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যান আকতারা। এ সময় মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। ভুক্তভোগী ওই স্বামীর বাড়ি রংপুর নগরীর হাজীরহাট জগদীশপুর এলাকায়।
৫ এপ্রিল স্ত্রী আকতারার করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ বছরের সংসার জীবনে নানা সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দেন আফজালুল হক। সর্বশেষ ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন স্বামী। আকতারা যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বলেন, গ্রেফতার আতঙ্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় শয্যাশায়ী একজন মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে করে স্ট্রেচারে হাজিরা দিতে এসেছেন। আদালত সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তার জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আসামি নিজেই হামলার শিকার হয়েছেন। পরে তার বিরুদ্ধে উলটো মামলা দেওয়া হয়। জামিনের পর আফজালুল হক বলেন, আমার প্রতি যে অন্যায় হয়েছে তার ন্যায়বিচার চাই।
সোনালী/ সা