সূর্যমুখি চাষে লাভবান কৃষক
রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে বিশাল এলাকাজুড়ে ফুটেছে হাজার হাজার সূয্যমুখি ফুল। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলার চরে দেখা দিয়েছে এমন সুন্দর্য। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ওইখানে ভিড় করছে শত শত মানুষ। সূর্যমুখি চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন বলে জানায় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৈগাড়ী জড়তা গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ ৬ বিঘা, সাইদুল ইসলাম ২ বিঘা, তারেক হোসেন ২ বিঘা জমিতে এই ফুল চাষাবাদ করেছেন। বন্যায় চরের জমিতে পলি পরায় সূর্যমুখি ফুল ও গাছের বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো।
গত দুই বছর ধরে এখানে এ চাষাবাদ হচ্ছে। সাধারণ এই সময় বসতিহীন চরাঞ্চলের বিশাল এলাকা পরিত্যক্ত থাকে। কৃষি বিভাগের প্রণোদনা কর্মসূচির সহায়তায় চরে সূর্য্যমুখি চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় বৈচিত্র্যময় চরের কৃষিতে এ চাষাবাদে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, চরে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে কৃষকরা এর চাষাবাদ করেছেন। মাটিতে লাইন ধরে এর বীজ বপন করা হয়। ১১০দিন পর ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায়। এ চাষাবাদে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। সামান্য সার ও কয়েকবার পানি দেয়া ছাড়া তেমন কোন পরিশ্রম ও খরচ নেই।
কৃষকরা জানায়, সদর উপজেলা কৃষি অফিস তাদের এই চাষাবাদে বীজ, রাসায়নিক সার সহ সব রকমের সহযোগীতা ও পরার্মশ দিচ্ছে। তাদের সূর্যমুখি গাছে প্রচুর ফুল ধরেছে। গত বছর তারা বিঘা প্রতি ৬ মন হারে সূর্যমুখি বীজ পেয়েছেন। যা ৫ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করেছেন।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতা আনোয়ার সাদাত জানান, সূর্যমুখির তেলে কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
যেকোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখি তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর এ কারণেই দিন দিন এ চাষাবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সদর উপজেলায় এবার ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখি চাষাবাদ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ আরও ছড়িয়ে দিতে।
সোনালী/জেআর