বেলকুচিতে নির্বাচনকে ঘিরে কিশোর গ্যাংদের মাদক উৎসব
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে বেলকুচি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ঈদ পরবর্তী মাদকের রমরমা ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করে চলছে কিশোর গ্যাংদের সক্রিয় সদস্যরা।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি প্রার্থীদের নিকট থেকে না না অজুহাতে হাতিয়ে নেয়া টাকায় চলছে অনুষ্ঠানের নামে উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নানা অনৈতিক কার্যকলাপ এবং বখাটেদের একত্রিত হওয়ার কৌশলগত মাধ্যম।
গভীর রাত পর্যন্ত চলে মোটর বাইকের দৌরাত্ব। দাপিয়ে বেড়ায় বখাটেরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে। পরিবার এবং সমাজ কেউ নেই এদের লাগাম ধরার।
ফলে ইচ্ছেমতো এ সমস্ত কিশোর গ্যাংদের কোমলমতি কিশোরেরা নেপথ্যে থাকা বড় ভাইদের আর্থিক অনুদানে অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিনিয়ত।
উপজেলার তামাই, কাজিপুরা, সুবর্ণসাড়া, আদাচাকি, চালা, আগুরিয়া, চন্দনগাতী চরবড়ধুলসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় রয়েছে কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম। এদের নেপথ্যে রয়েছে বড় ভাইদের মাদক ব্যবসা কেন্দ্রিক আর্থিক অনুদান।
পরিবার এবং সমাজ ব্যবস্থায় নেই এদের অনুশাসনের প্রক্রিয়া, নেই জবাবদিহিতা। যার ফলে কোন পদক্ষেপই কাজে লাগছে না মাদক মুক্ত এলাকার ঘোষণায়।
জেলা ও উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ চলে নিয়মমাফিক সভার কার্যক্রম। আলোচনা-সমালোচনায় টেবিল বন্দি হয়ে থাকে নীতি নির্ধারকদের মন্তব্য ও কার্যক্রম। এলাকার সচেতন মহল জানান, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গন যেমন মুখরিত হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি কিশোর গ্যাংদের তৎপরতাও বেড়ে গেছে প্রতিনিয়ত।
বাসা-বাড়িতে চুরি, ছিনতাই, বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রয়সহ সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অনৈতিক ঘটনার পক্ষে অথবা বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সালিশের নামে চলে আর্থিক লেনদেন। এখানেও রয়েছে অসাধু মাতব্বরদের সাথে কিশোর গ্যাংদের সখ্যতা। এ যেন অপরাধের রাম রাজ্যে পরিণত হয়েছে এলাকাগুলো ।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল বাসার জানান, যে কোন অপরাধ করুক না কেন আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
এছাড়া তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রেখে পুলিশ সদস্যরা সর্বক্ষণ নজরদারিতে কাজ করে চলেছে। উপজেলার সকল সচেতন নাগরিকদের কাছে আমাদের আহ্বান পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহয়তা করুন।
সোনালী/জেআর