ঢাকা | মে ২, ২০২৫ - ৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

নিয়ামতপুরে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়ার প্রকোপ চরমে

  • আপডেট: Saturday, April 20, 2024 - 8:10 pm

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: চলমান কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ ও গরমে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রচন্ড গরমে সইতে না পেরে বিশেষ করে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে শিশুরা। এর শিকার বৃদ্ধরাও।

তবে অসুস্থ্য শিশুদের বেশিরভাগই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। প্রতিদিন হাসপাতালে ১৫/২০টি করে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। এতে করে বেড সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

সরেজমিনে শনিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ওয়ার্ডে বেড না পাওয়ায় মেঝেতেই ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে পড়ে রয়েছেন অভিভাবকরা। শিশুদের সাথে মা বাবাসহ নানা-নানী বা দাদা-দাদী থাকায় ওয়ার্ডের স্বাভাবিক পরিবেশ ভেঙ্গে পড়েছে।

এতে করে কাঙ্খিত সেবাও পাচ্ছেননা আক্রান্ত শিশুরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিন ১৭ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। শনিবার (আজ ২০এপ্রিল) ১৯জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর বাবা আনারুল ইসলাম বলেন, তার ছেলের (আযমান আবিদ) বয়স ৭ মাস। গতকাল শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে হঠাৎ বমি, জ্বর ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সকালেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তিনি। ভর্তি করার পর বেড না পাওয়ায় মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে বাচ্চাকে নিয়ে।

ওয়ার্ডের পরিবেশ চিকিৎসাবান্ধব না জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, রোগীদের ব্যবহৃত বিছানা পত্র পোষাক পানিতে কাঁচা বা পরিস্কার করার ব্যবস্থাও নাজুক। স্যানিটেশন ব্যবস্থাও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই রোগী একটু সুস্থবোধ করলেই বাসায় নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করাবেন তিনি।

২১ মাস বয়সী শিশু জাহিদ হাসানকে নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে বসে ছিলেন বাবা এমরান হোসেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, হঠাৎ শুক্রবার সকাল থেকেই ছেলের জ্বর, বমি ও পায়খানা শুরু। সারাদিন বাসায় চিকিৎসা দিলেও সুস্থ্যতা বোধ না করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। বেড না থাকায় মেঝেতেই ছেলেকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে।

নিয়ামতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ প্রণব কুমার সাহা বলেন, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশুসহ বৃদ্ধরাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন প্রতিদিন। ঈদের পর থেকেই হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে প্রচন্ড গরমের কারণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। চিকিৎসক ও নার্সরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

সোনালী/জেআর

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS