ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

বাঘায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রাচীর নিলাম ছাড়াই ভাঙচুর

  • আপডেট: Sunday, April 7, 2024 - 9:00 pm

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন প্রাচীর নির্মাণ বরাদ্দ পাওয়ার পর, পুরাতন প্রাচীর (১নং ইট) ভেঙে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক বারিন সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অত্র এলাকার সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ,একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন কিছু বিক্রি করতে হলে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে (পত্রিকা) খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি অথবা মাইকিং এর মাধ্যমে উন্মক্ত ডাকে নিলাম দিতে হয়। কিন্তু রুস্তমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সেটি করা হয়নি।

নতুন প্রাচীর নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাওয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগ-সাজসে প্রধান শিক্ষক বারিন সরকার ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি আলমঙ্গীর হোসেনকে সাথে করে মানসম্মত (১নং ইটের) প্রাচীর ভেঙে একাকার করেছেন।

এ জন্য তার ব্যয় হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। যা নিজ মুখে এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক বারিন সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমি এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মামনুর রশিদের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিতে গেলে ইটের সমুদ্বয় টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। তাই স্কুলের স্বার্থে আমি এবং সহ-সভাপতি নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এই প্রাচীর ভেঙেছি।

তবে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এ বিয়য়ে ভিন্ন-ভিন্ন অভিমত প্রশন করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বারিন সরকার দীর্ঘকাল ব্যাপী এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। সেই সুবাদে তিনি অত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিজের সম্পত্তি বলে মনে করেন।

এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বরে অনেকগুলো আম গাছ রয়েছে। যার আম বিক্রির হিসাব তিনি এবং সহ-সভাপতি ছাড়া কেও রাখেন না। এখানকার সভাপতি একজন মহিলা । তিনি নওগাঁয় অবস্থান করার কারণে সহ-সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক তাদের ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, ঐ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে প্রচীর নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। এই কাজ ঈদের পর শুরু হওয়ার কথা। আমি এর বেশি কিছু জানি না।

সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের প্রাচীর ভাঙার বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। নতুন প্রাচীর হওয়ার আগে পুরাতন প্রাচীরের ইট অকশনে বিক্রি হবে এবং বিক্রির সমুদ্বয় টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।

সোনালী/জেআর