ঈদে বোরখাতেই খুশি বাগমারার নারীরা
বাগমারা থেকে আবু বাককার সুজন: রমজানের শেষ মুহূর্তে বাগমারা উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটস্থ নবরুপা বোরখা হাউসে বোরখা বিক্রয়ের ধুম পড়েছে। পছন্দের বোরখা কিনতে বাগমারা উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভাসহ পাশ্ববর্তী দূর্গাপুর ও আত্রাই উপজেলা থেকেও নারীরা ছুটে আসছেন নবরুপা বোরখা হাউসে।
নবরুপা বোরখা হাউসে উপচে পড়া ভীড়, ব্যাপক চাহিদা ও পছন্দের বোরখা কেনাকাটার দৃশ্য দেখে বোঝা যায় এবারের ঈদে বোরখাতেই যেনো নারীরা খুশি। তবে ঈদের দিন ক্রমেই ঘনিয়ে আসায় ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিপনী বিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও কেনাকাটার উৎসব জমে উঠছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক সংকট থাকলেও প্রতিবারের ন্যায় এবারও তারা কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
শনিবার সরজমিনে ভবানীগঞ্জ নিউমার্কেট ও গ্রীন সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, নবরুপা বোরখা হাউস, বিভিন্ন বিপনী বিতান, মুদি দোকান, লাচ্চা-সেমাই ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে এখন কেনাকাটা সরগরম হয়ে উঠেছে। গার্মেন্টেসের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। দোকানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে জমজমাট কেনাকাট। পোশাক পরিচ্ছদের দোকান, বিপনী বিতান ও ফুটপাতের দোকানসহ অন্যান্ন মার্কেটগুলোর দোকানেও ভালো বেচাকেনা চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এদিকে আত্রাই উপজেলার প্রভাষক আফরোজা খানম ও তার ননদ শাপলা খাতুন জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে পছন্দের বোরখা কেনার জন্য তারা ২৪ কি: মি: দুরুত্বের পথ পাড়ি দিয়ে ভবানীগঞ্জে নবরুপা বোরখা হাউসে এসেছেন। তারা দুজনেই দুটি করে ক্রিস্টাল ও চেরি কাপড়ের বোরখা কিনেছেন। সাশ্রয়ী মূল্যে পছন্দের বোরখা কিনতে পেরে তারা খুশি। পছন্দের বোরখা পাওয়ায় আর কিছু প্রয়োজন নেই বলেও তারা এই প্রতিবেদককে জানান।
এছাড়া দূর্গাপুর উপজেলার জেসমনি আরা, পপি খাতুন ও রাশিদা বেগম এবং বাগমারার বানইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মাহফুজা নাসরিনসহ কয়েকজন কলেজ ছাত্রীও নবরুপা বোরখা হাউস থেকে পছন্দের বোরখা কিনতে পেরে মহাখুশি বলে তারা মন্তব্য করেন।
এদিকে নবরুপা বোরখা হাউসের সত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম ভুট্রু জানান, অধিক বিক্রয়ের আশায় এবার তিনি
অপেক্ষাকৃত ভালো ও দামী মানের বোরখা বেশি আমদানী করেছিলেন। তবে ক্রিস্টাল ও চেরি কাপড়ের বোরখা এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে দুপুরের দিকে ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও সকালের দিকে এবং ইফতারের পর থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত তার দোকানে ভিড় বেশি হচ্ছে।
সোনালী/জেআর